করোনা ডেস্কঃ ভারতের দ্বিতীয় ঢেউ এর জন্য দ্বায়ী ডেল্টা স্ট্রেইনকে সমস্যার মূল বলে ধরা হচ্ছে। B.1.617 স্ট্রেনটির হদিস প্রথমে ভারতে পাওয়ায় মুখে-মুখে এটিকে ভারতীয় স্ট্রেইনই বলা হচ্ছিল এত দিন। সম্প্রতি একে ডেল্টা নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO )। মারাত্মক সংক্রামক এই স্ট্রেইন ইতোমধ্যেই ৫৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এই স্ট্রেইনকে নানাবিধ প্রতিষেধক কতটা সামলাতে পারছে, তা নিয়ে গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে (Lancet) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হল, ফাইজারের (Pfizer) তৈরি করোনা-ভ্যাকসিন ডেল্টার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পাঁচ গুণ কম অ্যান্টিবডি তৈরি করছে।

গবেষণাপত্রটিতে বলা হয়েছে, ফাইজারের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে অনেকটাই কম দেখাচ্ছে অ্যান্টিবডি রেসপন্স। তাই করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা বাড়াতে গবেষকদের একাংশের পরামর্শ- ফাইজারের দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে আনা হোক।
গবেষকদের দাবি, করোনার প্রাথমিক স্ট্রেইনের জবাবে ফাইজারের প্রথম ডোজ প্রায় ৭৯ শতাংশ প্রতিরোধ গড়ছে। কিন্তু আলফা, ডেল্টা ও বিটা (দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ) স্ট্রেনের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে ৫০, ৩২ এবং ২৫ শতাংশে দাঁড়াচ্ছে।

গবেষক এমা ওয়ালের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব দ্বিতীয় ডোজ দিলেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছি। করোনা টিকা কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান সম্প্রতিই ৬-৮ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ১২-১৬ সপ্তাহ করেছে ভারত। তবে ল্যানসেট ফাইজারের ক্ষেত্রে ডোজের ব্যবধান কমানোর কথা বলছে।
ব্রিটেন ইতোমধ্যেই সেই পথে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে। করোনার ডেল্টা স্ট্রেইনের দাপটে ফের কঠিন সময় সে দেশে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার তাই ফাইজারের দু’টি ডোজের মধ্যে ব্যবধান অনেকটাই কমিয়ে এনেছে। কিন্তু যাঁদের দু’টি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাঁদের অ্যান্টিবডি রেসপন্স কতটা স্ট্রেইনের মোকাবিলা করতে পারবে, এখন সেটাই দেখার।