সিভাসুতে মৎস্য ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদকে সংবর্ধনা

সিভাসু প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় কনফারেন্স হলে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার নুরুল ইসলাম এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আহসানুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল আবছার খান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষদীয় সহকারী অধ্যাপক ড. শেখ আহমাদ আল-নাহিদ।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নব নিযুক্ত মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদকে ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জবাবে ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, দেশের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী ধ্বংস প্রায়। এ নদী ধ্বংস হলে দেশের প্রায় ১২ হাজার মৎস্য খামার বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট প্রভাব পড়বে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনে সাগরের অবদান ১৭ শতাংশ। ১৯৭৩ সালের পর সাগরে আর কোনো মৎস্য জরিপ হয়নি। আগামী নভেম্বর মাসে একটি মৎস্য জরিপ জাহাজ কাজ শুরু করবে। জরিপ সম্পাদিত হলে সাগরের মৎস্য সম্পদ সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সাগরের মৎস্য আহরণে পরিকল্পনা ভিত্তিক কাজ করা যাবে। তিনি আরো বলেন, সাগরই আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নব নিযুক্ত মহাপরিচালক বলেন, ঝিনুকে মুক্তা উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটানো সম্ভব। ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম থেকে উন্নতজাতের ঝিনুক আনা হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে আগামী বছরই এর ফল পাওয়া যাবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: