কুবিতে জালিয়াতির দায়ে আটক মিরাজুলকে নিয়ে নাটকীয়তা!

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির কারনে আটক একজনের অবস্থান নিয়ে তৈরী হয়েছে ধু¤্র জাল। দু দিন ব্যাপি ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি অভিযোগে আটক করা হয়েছে ৫ জনকে। এদের মধ্যে ১জনের অবস্থান বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটে অন্যের পরীক্ষা দিতে আসায় (প্রস্কি) ৪ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়। পরদিন শনিবার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গহন করতে গিয়ে আটক করা হয় আরো ১ জনকে।

জানা যায়, শনিবার এ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করায় আটক হন চট্টগাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী জহির রায়হান। নবাব ফয়জুন্নেসা মহিলা সরকারী কলেজ থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মাহফুজা তাকে ১বছরের জেল দেন। এর আগে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার অংশ গ্রহন করতে গিয়ে আটক হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মেজবাহ উদ্দিন, শরীফ হাসান খান ও মো: হোসেন নামের তিন শিক্ষার্থী। এই তিন জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিস্ট্রেটদের কাছে সোপর্দ করা হয়।

তবে জালিয়াতির অভিযোগে আটক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্টবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাকে নিয়ে তৈরী হয়েছে ধুম্র জাল। শুক্রবার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সময় তাকে আটক হয়। পরে ‘এ’ ইউনিট প্রধান ড. সৈয়দুর রহমান তাকে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে আটকে রাখেন। সন্ধ্যায় পুলিশে সোপর্দের জন্য মিরাজুল ইসলামকে সহকারী প্রক্টর খলিলুর রহমান ও হাসান হাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেন তিনি। তবে সহকারী প্রক্টরদ্বয় মিরাজুলকে কোতয়ালী থানায় সোপর্দ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদারের হাতে তুলে দেন।

পরে শনিবার বিকালে কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় মিরাজুলের অবস্থান সম্পর্কে জানার জন্যে যোগাযোগ করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জালিয়াতির অভিযোগে আটক মিরাজুল ইসলাম নামের কোন শিক্ষাথীর্কে আমাদের কাছে সোপর্দ করা হয়নি।’ এখন মিরাজুলের অবস্থান নিয়ে তৈরী হয়েছে নাটকীয়তা। কোথায় আছে মিরাজুল এমন প্রশ্নের ভিন্ন ভিন্ন উত্তর দেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন।

নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদেক হোসেন মজুমদার কখনও বলেন তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে আবার কখনও বলেন প্রক্টর স্যারের সিদ্ধান্তের বাহিরে আমি কাজ করি না। মিরাজুলকে থানায় সোপর্দ করেছেন বলে দাবি করলেও কার কাছে সোপর্দ করেছেন এমন প্রশ্নের স্পষ্ট কোন উত্তর দেননি তিনি।

তবে বিষয়টি নিয়ে ‘এ’ ইউনিট প্রধান ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমাননের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘মেরাজুলকে থানায় সোপর্দ করতে আমি তাকে দুই সহকারী প্রক্টরের হাতে তুলে দিয়ে বিষয়টি ফোন করে প্রক্টরকে জানাই। তার পরবর্তি খবর আমার জানা নেই।’

উল্লেখ্য, শনিবার সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: