গ্রেড বৈষম্যের প্রতিবাদে ব্রি ও বারি’র বিজ্ঞানীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে বিজ্ঞানীদের চাকুরীতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিসিএস ক্যাডারদের সাথে বিজ্ঞানীদের গ্রেড বৈষম্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট(ব্রি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট(বারি)-এর বিজ্ঞানীরা।

বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপর ১২.০০ টা থেকে ১.০০ টা পর্যন্ত ব্রি ও বারি‘র প্রধান গেইটের সামনে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রকৃচি-বিসিএস সমন্বয় কমিটির দেশ ব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সমন্বয়করে ব্রি ও বারি‘র বিজ্ঞানী সমিতি উক্ত কর্মসূচী পালন করে আসছেন। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বারি বিজ্ঞানী সমিতির আহ্বায়ক ডঃ সৈয়দ নুরুল আলম, সদস্য সচিব মোঃ মুজিবুর রাহমান, ব্রি’র মহাপরিচালক ডঃ জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস, পরিচালক ডঃ শাহজাহান কবির ও ব্রি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ডঃ মোঃ আনছার আলী, সিরাজুল ইসলামসহ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে বিজ্ঞানীদের সম্পূর্ণভাবে মর্যাদাহীন করা হয়ছে। গবেষকরা যেখানে পেশাজীবীদের শিরোমণি। সেখানে চাকুরীতে যোগদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টিকরে বিসিএস ক্যাডারদের ৮ম গ্রেড এবং বিজ্ঞানীদের ৯ম গ্রেড দিয়ে মর্যাদাহানি করায় মেধাবীরা ভবিষ্যতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগদানে নিরুৎসাহিত হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। এই ধরনের বৈষম্যের কারনে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা মারাত্মক ভাবে বাধাগ্রস্থ হবে।

গ্রেড বৈষম্যমুলক ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল বিরোধী লিয়াজো কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান মিলন জানান, দেশের জন্য বিজ্ঞানীদের অবদানের কথা চিন্তা করলে বিজ্ঞানীদের চাকুরী ৭ম গ্রেড দিয়েই শুরু হওয়ার কথা।কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন স্বাধীনতার পর পরেই চাকুরীতে যোগদানের সময় বিজ্ঞানীদের বেতন ছিল ৪৫০ টাকা বিসিএস ক্যাডারদের ছিল ৩৭৫ টাকা। অথচ বিগত চার দশকে বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত উন্নত জাত ও প্রযুক্তি মাধ্যমে দেশ অবিরাম খাদ্য ঘাটতি থেকে আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিনত হয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে বিজ্ঞানী পদে চাকুরিতে যোগদানের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্যমূলক বাবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত বাতিল করে বিজ্ঞানীদের চাকুরী ৮ম গ্রেড দিয়ে শুরুর জোর দাবী তুলেন বক্তারা। একই সঙ্গে বিজ্ঞানীদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোসহ প্রশাসন ক্যাডারের ন্যায় সুপারনিউমারারি পদ সৃষ্টির মাধ্যমে পদোন্নতি পদ্ধতি চালুরও দাবী জানান।

উল্লেখ্য যে, ৮ম জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশের পর থেকেই আন্দোলনে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০ ডিসেম্বর থেকে কালো ব্যাচ পড়ে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে রয়েছেন তারা। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ সকল গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়সহ সকল আঞ্চলিক ও উপ-কেন্দ্রগুলোতে কর্মসূচি পালন করবেন বিজ্ঞানীরা।

আগামি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি ২৭-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে থাকবেন তারা। এ সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন বলে উল্লেখ করেন বিজ্ঞানীরা।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: