নওগাঁয় বিজিবি’র বিরুদ্ধে কৃষকগণের নানা অভিযোগ

মোঃখালেদ বিন ফিরোজ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা সীমান্তে চোরাকারবারীদের ভারতীয় গরু-মহিষের পদচারণায় শতাধীক কৃষকের কয়েকশ বিঘা জমির সরিষা ফসল নষ্ট হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। সীমান্ত রাক্ষাকারী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরব ভুমিকা পালন করায় স্থানীয় কৃষকগণ হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এবারের বর্ষায় সর্বগ্রাসী বন্যায় ওই এলাকার কৃষকের আমন চাষাবাদ সমুলে ক্ষতি সাধন হওয়ায় কৃষকগন তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে সর্বস্ব খুইয়ে একচাটিয়াভাবে সমস্ত জমিতে সরিষার আবাদ করে। বর্তমানে চোরাই পথে ভারত থেকে গরু আনা অব্যহত থাকায় প্রতি রাতে তাদের সীমাহীন তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।প্রতি রাতেই চোরাকারবারীরা ওই সীমান্ত দিয়ে শত শত গরু মহিষ কৃষকের ফসলের মাঠের উপর দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে আনছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকগণ জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ওই এলকার কৃষকগন তাদের ফসল ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য করমুডাঙ্গা (বিওপি) বিজিবি ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানালে বিজিবি সদস্যরা তাদের নিজের ফসল নিজকে রক্ষা করতে বলে। আবার রাতে তারা চোরাকারবারীদের হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য মাঠে পাহারা দিতে গেলে টহল রত বিজিবি সদস্যরা তাদেরকে চোরাকারবারী বলে ধমক দিয়ে মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ অবস্থায় মাঠের ফসল রক্ষায় তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ভেবে না পেয়ে হতাশায় ভুগছে। ভারতীয় গরুর পদচারণায় কৃষকের ক্ষতি দেখতে সরে জমিনে ওই এলাকায় গেলে করমুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক এমদাদুল হক, শাহিন আলম, ফারুক হোসেন, সোলাইমান আলী, সাইদুর রহমান, ইয়াছিন আলী, আঃ রশিদ, আফজাল হোসেন, মামুন হোসেন, কছিমুদ্দীন, জালাল উদ্দীন, হাবিবুর রহমান, আঃ খালেক ও আলম সহ শত শত কৃষকগণ সাংবাদিকদের সামনে তাদের তির কথা স্মরণ করে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রতি নান অভিযোগ তুলে ধরে জোরালো ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি কৃষকের বক্তব্য অস্বিকার করে বলেন, আমার বিজিবি সংখায় অনেক কম, চোরাকারবারীদের কবল থেকে কৃষকের ফসল রক্ষার জন্য আমরা সবসময় কৃষকের সহযোগীতা চেয়েছি কিন্তু কৃষক আমাদের কোন সহযোগীতা না করে উল্টো আমাদেরকে দুষছে। কৃষকের সহযোগীতা পেলে প্রয়োজনে চোরাকারবারীকে গুলি করে হত্যা করব একটি পাখিও ভারত থেকে আসতে দিবনা বলেও তিনি জানান। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল মিঞা ঘটনার কথা স্বীকার করে কৃষকের সাথে একত্বতা প্রকাশ করেন এবং বিজিবির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চোরাকারবারীদের কবল থেকে কৃষককুল তাদের মাঠের ফসল রায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপরে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3