দেশে প্রথম টার্কির কৃত্রিম প্রজননে সফল শেকৃবি শিক্ষার্থী শাহীন

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

দেশে প্রথমবারের মতো টার্কির কৃত্রিম প্রজননে সফল হয়েছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থী শেখ মোহাম্মদ শাহীন। তিনি তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায় টার্কির একটি খামারও গড়ে তুলেছেন।

দিনের পর দিন দেশে টার্কির সুস্বাদু মাংসের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলছে। এ চাহিদা পূরণে প্রয়োজন উৎপাদন বাড়ানো ও তা সুষ্ঠুভাবে বাজারজাতকরণ। টার্কির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃত্রিম প্রজনন খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও অভিমত প্রকাশ করছেন অনেকেই।

কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে পুরুষ টার্কি হতে সিমেন সংগ্রহ করে তা স্ত্রী টার্কির জননাঙ্গে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রতিস্থাপন করা হয়।

নিজের ব্যবহৃত পদ্ধতি সম্পর্কে শাহীন বলেন, ভেটেরিনারির একজন ছাত্র হিসেবে এ খাতে দেশ ও জাতির কল্যাণে কিছু অবদান রাখতে চাই। আমার এ পদ্ধতি ব্যবহার করে মানুষ উপকৃত হলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক হবে। এ ব্যাপারে আমি আরও কাজ করে যেতে চাই।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষক ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি পোল্ট্রি এসোসিয়েশন, বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক এবং শেকৃবির মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কেবিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, বেশি ওজনের কারণে টার্কির দৈহিক মিলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় না। পুরুষ টার্কির ওজন বেশি হওয়ায় স্ত্রী টার্কি আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ডিমের উর্বরতা হ্রাস পায় এবং বাচ্চা উৎপাদনও অনেকাংশে কমে যায়। ফলে খামারীরা আশানুরূপ মুনাফা অর্জন করতে পারে না। টার্কির কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে মানসম্মত জাত বাছাই করে ডিম ও মাংস উভয়ের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এতে মানুষ স্বল্পমূল্যে টার্কির মাংস ক্রয় করতে পারবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: