বাকৃবিতে ২৪তম ভেটেরিনারি বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সার্বিক পুষ্টি সূচকের উন্নতি করতে বাংলাদেশকে আরো কাজ করতে হবে। সারা বিশ্বের তুলনায় সার্বিক পুষ্টি পরিস্থিতির সূচকে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে পৌঁছতে বাংলাদেশকে আরো অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে অপুষ্টি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। মানবসম্পদের উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হল সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা। মেধাবী জাতি গঠনে দুধ, ডিম, মাছ-মাংসের উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে এবং দেশের দরিদ্র মানুষের দ্বোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। আর মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে ভেটেরিনারিয়ানদের কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন এন্ড রিসার্সের (বিএসভিইআর) ২৪তম বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দেশের ভেটেরিনারি শিক্ষা, গবেষণা ও বিপণনের সাথে জড়িত গবেষকরা।

শনিবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে ভেটেরিনারিয়ানদের সর্ববৃহৎ এই সম্মেলন শুরু হয়। দুই দিনব্যাপী বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আগামীর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও বাংলাদেশ’।

অনুষ্ঠানে বিএসভিইআর-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান খানের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ইমেরেটাস অধ্যাপক ড. মো. এম এ সাত্তার মন্ডল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস, বিশ^ পোল্ট্রি বিজ্ঞান এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ এর সভাপতি শামসুল আরেফিন খান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং ধন্যাদ জ্ঞাপন করেন বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মো. আবদুল আলীম। এছাড়াও সম্মেলনে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনিয়র প্রফেসর, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, পিএইচডি ফেলো, মাস্টার্স শিক্ষার্থী এবং দেশের ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সাত্তার মন্ডল বলেন, আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রাণিসম্পদের ও উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। ভেটেরিনারি শিক্ষাকে আরও আধুনিক করতে হবে। শিক্ষার শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি করতে হবে। মাঠপর্যায়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যোগ্যতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট তৈরী করতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভেটেরিনারিয়ানদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং এ প্রচেষ্টাকে আরও বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলী আকবর বলেন, উন্নত ও মেধাবী জাতি গঠনে খাদ্য নিরাপত্তার সাথে সাথে পুষ্টিনিরাপত্তা অর্জন করতে হবে। আর বিশ^বিদ্যালয়গুলো শিক্ষাদানের পাশাপাশি গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করে থাকে। তিনি দেশর মানুষের পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভেটেরিনারিয়ানদের নিরলস পরিশ্রমের কথা স্মরণ করেন এবং তাঁদেরকে দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মিলনায়তনে ‘আগামীর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও বাংলাদেশ শীর্ষক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনে ১১৫ টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: