নির্মাণ করা হচ্ছে বিশ্বের প্রথম ভাসমান দুগ্ধ খামার

নিউজ ডেস্ক:

নেদারল্যান্ডসে ভাসমান দুগ্ধ খামার নির্মাণ করা হয়েছে। ভাসমান খামারটি সে দেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা পূরণ করবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ফার্মটির অবস্থান রটারডামে। বিশেষ স্থাপনাটি ডাচদের আইকনিক স্থাপনার একটি। এ খামারের ধারণা দেন ডাচ প্রকৌশলী পিটার ভ্যান ভিনডেগারডেন।

জানা যায়, বেলাডন নামের প্রপার্টি কোম্পানি বন্দরনগরী রটরডামে বিশেষ খামারটি বানাচ্ছে। খামার পরিচালনায় উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হবে। গরু থেকে দুধ দোহন, দুধ পরিবহনে বিশেষ পরিবহন ও বিশেষ এলইডি বাতি ব্যবহার করা হবে।

তিনতলা উচ্চতার খামারটি সমুদ্রতীরে নোঙর করা থাকবে। চলতি বছরের শেষ দিকে খামারটি চালু হবে। এতে দৈনিক ৮শ’ লিটার দুধ উৎপাদন হবে বলে দাবি করেছেন উদ্যোক্তারা।

ডাচ প্রকৌশলী পিটার ভ্যান ভিনডেগারডেন জানান, খামারে ব্যবহৃত উপকরণ পুনর্ব্যবহার করা হবে। খাবার আসবে রটারডামের ৮০ ভাগ খাদ্য শিল্প থেকে। এছাড়াও খামারে উৎপাদিত হবে ঘাসও। স্থানীয় গম মিল থেকে কিছু উপজাত সংগ্রহ করা হবে। এখানকার শক্তির চাহিদা মেটানো হবে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে।

পিটার জানান, বিশেষ সেলফ ব্যবহার করে ঘাস উৎপাদন করা হবে। খামারে উৎপাদিত দুধ বিশেষ প্রক্রিয়ায় পাস্তুরিত করা হবে। এখানে দইও উৎপাদিত হবে। গোবর ব্যবহার করা হবে সার হিসেবে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, এটি হবে আইকনিক স্থাপনা ও মাইলফলক। যা ভবিষ্যতে এ ধরনের খামার করতে উদ্বুদ্ধ করবে। পানি, সার ও কীটনাশক কম লাগায় আদর্শ হয়ে উঠতে পারে খামারটি। তবে ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদায় এ ধরনের খামার কতটা জোগান দিতে পারে, সেটা এখন দেখার বিষয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3