মালিতে ১৩৪ আদিবাসী মুসলিমকে গুলি করে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফ্রিকার দেশ মালিতে শনিবার বন্দুকধারীরা ১৩৪ জন ফুলানি পশুপালককে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন একজন স্থানীয় মেয়র।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, জাতিগত এবং জঙ্গিবাদী সহিংসতায় আক্রান্ত দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ।
মালিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদের সফরের মধ্যেই ওগোসাগু এবং ওয়েলিঙ্গারা গ্রামে বর্বর এই ঘটনা ঘটল।
বাঙ্কাস শহরের মেয়র মুলাই গিন্ডো বলেন, ঐতিহ্যবাহী ডনজো শিকারির পোশাকে সজ্জিত বন্দুকধারীরা ভোর ৪টার দিকে ওগোসাগু ঘিরে ফেলে আক্রমণ চালায়।
‘স্থানীয় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ১৩৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে,’ রয়টার্সকে বলেন গিন্ডো।
তিনি আরও জানান, কাছের ওয়েলিঙ্গারা গ্রামেও হামলা চালিয়ে ‘কিছু সংখ্যক’ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তবে, সেখানে হতাহতের সংখ্যা ঠিক কত তা জানাতে পারেননি গিন্ডো।
প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, নিহতদের মধ্যে গর্ভবতী নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন।
ওগোসাগুর একজন বাসিন্দা বলেন, আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি দল শুক্রবার হামলা চালিয়ে ২৩ জন সৈন্যকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। দৃশ্যত, ওই হামলার জবাবেই শনিবার ফুলানি গ্রামগুলতে হামলা চালানো হয়েছে।
ফুলানিদের ওপর মালির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র দলগুলোর নির্যাতনের জবাবেই সৈন্যদের শুক্রবার ওপর হামলা চলানো হয় বলে জানিয়েছিল দায় স্বীকার করা দলটি।
আল-কায়েদা ও আইএসর মতো জিহাদি দলগুলো সাম্প্রতিক সময়ে মালি ও এর প্রতিবেশী দেশ বুরকিনা ফাসো এবং নাইজারে জাতিগত বিরোধ কাজে লাগিয়ে তাদের সদস্য বাড়িয়েছে। এর ফলে সেখানে অনেক এলাকাই শাসন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
আদিবাসী জনগোষ্ঠী ফুলানির বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম।
সাবেক ফরাসি কলোনি মালিতে ফ্রান্স ২০১৩ সালে হস্তক্ষেপ শুরু করে উত্তরের মরুভূমিতে জিহাদি দলগুলোর অগ্রগতি রুখে দেয়। কিন্তু, এরপর জঙ্গিরা পুনরায় সংঘবদ্ধ হয়ে মালির কেন্দ্রীয় অঞ্চল এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।