আয়াক্সের রূপকথা থামিয়ে ফাইনালে টটেনহাম

স্পোর্টস ডেস্ক:

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রূপকথার মতোই এগিয়ে চলছিল ডাচ ক্লাব আয়াক্স। একের পর এক জায়ান্ট ক্লাবকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে উঠে গিয়েছিল তারুণ্য নির্ভর দলটি। সেমির প্রথম লেগে টটেনহাম হটস্পারকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালের পথে অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছিল।

কিন্তু তাদের রূপকথার সমাপ্তি ঘটেছে বুধবার নিজেদের মাঠ ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায়। সেমি দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে হেরেছে আয়াক্স। তাতে অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে টটেনহাম।

এদিন প্রতিপক্ষের মাঠে অবিশ্বাস্য এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে টটেনহাম। ম্যাচের প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়েছিল আয়াক্স। কিন্তু বিরতি থেকে ফিরে অসামান্য এক বীরত্বের প্রদর্শনী দেন লুকাস মৌরা ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল ইংলিশ ক্লাবটি।

অন্য সেমি ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে একই রকম প্রত্যাবর্তনের ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল গেলবারের রানার্স আপ লিভারপুল। প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে ৪-০ গোলে জিতে লিওনেল মেসিদের হতাশায় পুড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে এনফিল্ডের দলটি।

এদিন আক্রমণ প্রতি আক্রমণের ম্যাচে শুরুতেই এগিয়ে যায় আয়াক্স। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে টটেনহামের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে দলকে এগিয়ে দেন ডি লিট। আর ৩৫ মিনিটে সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হাকিম জিয়েখ।

দারুণ ছন্দে থাকা আয়াক্স হয়তো তখনই ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। গতি ও ক্ষিপ্রতায় ইংলিশ ক্লাবটির সাথে দারুণ লড়াই করেছে আয়াক্স। লড়াই করেছে তারা শেষ পর্যন্ত। কিন্তু বিরতির পর লুকাস মৌরার জাদুকরী পারফরম্যান্সের কাছে হার মানতে হয় তাদের। মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে।

২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া টটেনহাম বিরতির পর ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায়। আয়াক্সের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। এই সময় কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে ডাচ ক্লাবটি। আর তখনই প্রথম আঘাত হানেন মৌরা ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ডেলে আলীর বাড়ানো বল আয়াক্সের জালে জড়ান তিনি।

তার ৪ মিনিট পর মৌরার দ্বিতীয় গোলে সমতায় ফেরে অতিথিরা। কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে আয়াক্স এগিয়ে তখনও। ফাইনালে যেতে টটেনহামের আরো অন্তত একটা গোল প্রয়োজন। এদিকে নির্ধারিত ৯০ ওভারের খেলা শেষ। চলছে অতিরিক্ত সময়ের খেলা।

তখনই আবার টটেনহামের ত্রাতা হিসেবে আসেন মৌরা। অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে ডেলে আলীর বাড়ানো বল থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড। আর তাতে দুই লেগ মিলিয়ে গোলের হিসাব দাঁড়ায় ৩-৩। কিন্তু অ্যাওয়ে গোলে এগিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠে যায় টটেনহাম।

১ জুন মাদ্রিদের ফাইনালে আরেক ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের মুখোমুখি হবে পচেত্তিনোর শিষ্যরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের দ্বিতীয়বারের মতো অল ইংলিশ ফাইনাল দেখবে বিশ্ব।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3