গাইবান্ধায় পুলিশ কনষ্টেবলের স্ত্রী-মেয়ের লাশ উদ্ধার

জিল্লুর রহমান পলাশ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার কর্মরত পুলিশ কনষ্টেবল শ্রী পরিমল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী (২৫) ও তার ২০ মাসের শিশু কন্যা অর্পিতা রাণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের বামনজল এলাকার একটি ভাড়া বাসায় মঙ্গলবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কৃষ্ণা রাণীর গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ ও অর্পিতা রাণীর লাশ শোয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করেছে।এদিকে, এ ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম, সার্কেল মো. রবিউল ইসলাসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।কনষ্টেবল পরিমল চন্দ্র সুন্দরগঞ্জ থানায় কর্মরত। তার বাড়ি ঠাকুরগাও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আকাশীল গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের অক্ষয় চন্দ্রর ছেলে ও কৃষ্ণা রাণী ঠাকুরগাও সদর উপজেলার কালিকাগাঁও নলিনী কান্তের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রতিবেশিরা জানান, কনষ্টেবল পরিমল চন্দ্র রায় প্রতিদিনের ন্যায় স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী তার শিশু কন্যা অর্পিতা রাণীকে নিয়ে সোমবার রাতে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে পরিমল চন্দ্র ঘুম ভেঙ্গে দেখতে পান তার ২০ মাস বয়সের শিশু কন্যা অর্পিতা রাণী মারা গেছে। এসময় তার স্ত্রী কৃষ্ণা রাণীকে তিনি বিছানায় দেখতে পাননি। পরে ঘড়ের বাইরে এসে রান্না ঘরের তীরের (ধরনার) সঙ্গে স্ত্রী কৃষ্ণা রাণীর গলায় লায়নের রশি পোঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসরাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে কৃষ্ণা রাণী ও অর্পিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পরিমল চন্দ্র বাদি হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।কনষ্টেবল পরিমল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগায়োগ করা হলে তিনি জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে কোন ঝগড়া বিবাদ নেই। কি কারণে তার স্ত্রী ফাঁসি দিল ও এবং অর্পিতার কিভাবে মৃত্যু হল বিষয়টি নি বুঝে উঠতে পারছেনা না।জেলা পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানান, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3