বারোমাসি তরমুজ বাজারে

নিউজ ডেস্কঃ

সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বাজারে প্রচুর তরমুজ পাওয়া যায়। ওই সময় বাংলাদেশের আবহাওয়া থাকে উঞ্চ। তাই গরম থেকে বাঁচতে উপকারী মৌসুমী ফলটির প্রতি বাড়তি আগ্রহ থাকে সবার।

তবে এখন ভর মৌসুম না হলেও নগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গ্রীষ্মের ফল তরমুজ। এমনকি ভ্যানগাড়িতে করে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতেও বিক্রি হচ্ছে ফলটি। আবার এসব তরমুজের স্বাদও ভর মৌসুমের তরমুজের চেয়ে কম নয়। বরং বেশিই মিষ্টি। তাই দাম বেশি হলেও দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ফলটি।

জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে পাওয়া তরমুজ বারোমাসি জাতের। চট্টগ্রামের বাজারে এসব তরমুজ আসছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অথচ ভর মৌসুমে বাজারে সাইজ অনুযায়ী প্রতিটি তরমুজের দাম দাবি করতেন বিক্রেতা।

সেক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতার আলাপ-আলোচনায় দাম নির্ধারণ করা হতো।
এনায়েত বাজারে ভ্যানগাড়িতে করে গতকাল তরমুজ বিক্রি করছিলেন আফসার। প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি করেন ৮০ টাকায়। তিনি বলেন, ফলমণ্ডি থেকে তরমুজ বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি।

সেখানে কথা বলে জানতে পেরেছি এসব তরমুজ এসেছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে। চট্টগ্রামে চাষ হচ্ছে না। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গরম পড়ছে বেশি। তাই তরমুজ বিক্রিও বেড়েছে। অবশ্য গরম না পড়লেও মিষ্টি হওয়ায় সবসময় এ তরমুজ বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা, বরিশাল, নাটোর, বগুড়া, মাগুরাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বারোমাসি জাতের তরমুজের চাষ হচ্ছে। জমিতে বৃষ্টির পানি জমলেও ক্ষতি হয় না তরমুজের। কারণ, মাটিতে খড়ের বিছানা বিছিয়ে নয়, মাচায় ঝুলিয়ে চাষ করা হচ্ছে এই তরমুজের। এছাড়া কীটনাশকমুক্ত এবং সম্পূর্ণ অর্গানিক রাখতে তরমুজ নেটের ব্যাগে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষেতে উৎপাদিত এই তরমুজের ওজন তিন থেকে চার কেজি পর্যন্ত হয়। প্রতি বিঘায় ১৫০ মণ পর্যন্ত ফলন হচ্ছে। ৭০ দিনেই এ জাতের তরমুজের ফলন হয়।

ভর মৌসুমে যে তরমুজ পাওয়া যায়, বাংলাদেশে তার উপযোগী আবহাওয়া হচ্ছে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস। কোনো ক্ষেত্রে জানুয়ারিতে আগাম জাতের তরমুজের চাষ হয়। কৃষি বিভাগ জানায়, মৌসুমী তরমুজের বীজ বোনার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম পক্ষ সর্বোত্তম।

জানা গেছে, নগরীর পতেঙ্গায় মৌসুমী তরমুজের চাষ হয়। এছাড়া আনোয়ারা, সীতাকুণ্ডসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় চাষ হয়। তবে চট্টগ্রামে বারোমাসি জাতের তরমুজের চাষ এখনো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়নি। এক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি বিভাগ এগিয়ে এলে বারোমাসি তরমুজ চাষ করে কৃষি অর্থনীতিতে চট্টগ্রামও ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন এখানকার তরমুজ চাষিরা।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: