ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না মধুপুর গড়ের ফলচাষিরা

নিউজ ডেস্কঃ

মধুপুর গড়ের সোনাফলা মাটিতে সহজেই লকলকিয়ে ওঠে ফলদ গাছ। সেই গাছের কোল জুড়ে দেখা দেয় পেঁপে, কলা, আনারস, কাঁঠাল, জলপাই, আম, পেয়ারা, মালটা ও ড্রাগন। ফলের বাগানে অতিথি ফসল থাকে বাতাবি ও কাগজি লেবু। আদা-হলুদের আবাদ তো বোনাস।

জানা যায়, মধুপুর গড়ে প্রায় ২৮ হাজার একর জমিতে ফলদ ও কৃষিজ পণ্যের বাণিজ্যিক আবাদ হয়। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর ফল ও কৃষিপণ্য সংগ্রহের সময়। তবে এ সময় একটু বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

শোলাকুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন জানান, তখন ট্রাক তো দূরের কথা, রিকশাভ্যানও চলাচল করে না। বাগানের ফল-ফসল নিয়ে চাষিরা পড়েন চরম বিপাকে। জালাবাদা, সাধুপাড়া, বেদুরিয়া, বন্দরিয়া, কাঁকড়াগুণি, ভুটিয়া, চানপুর, ধরাটি, হরিণধরা, চুনিয়া, লাইনপাড়া, বেড়িবাইদ, বৈরাগীবাজার, মাগন্তিনগর, জাঙ্গালিয়া, কমলবাইদ, গুবুদিয়া, দামালিয়া এলাকার ফল ও ফসল পরিবহনে ব্যাপক সমস্যা হয়। বেড়িবাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলহাস উদ্দীন জানান, ফল সংগ্রহের ভরা মৌসুমে পরিবহন সমস্যায় কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদুল হাসান জানান, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ সমস্যায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। মধুপুর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী বিদ্যুত্ কুমার দাস জানান, এ উপজেলায় এখনো ৮৬৪ কিলোমিটার পাহাড়ি রাস্তা পাকা না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: