বিশ্বে প্রথম করোনা মুক্ত থ্যাইল্যান্ড

নিউজ ডেস্কঃ

থাইল্যান্ডে বুধবার কোন কোভিড-১৯ রোগি শনাক্ত হয়নি। গত ৯ মার্চের পরে নতুন করে কেউ করোনায় আক্রান্ত না হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এদিকে, দুবাই পাবলিক পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি, ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে সীমান্ত খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। থাই সরকার অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য লকডাউন আরও শিথিলের পরিকল্পনা করছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার নিয়োজিত কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র তাইউসিন উইসানয়োথিন বলেন, ‘আমরা সকলেই স্বস্তি পেতে পারি তবে আত্মতুষ্ট হতে পারি না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সতর্কতা অব্যাহত রাখা দরকার। হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্ব অনুশীলন করা এবং মাস্ক পরতে হবে।’

চীনের বাইরে গত ৯ মার্চ থাইল্যান্ডেই প্রথম করোনা রোগি ধরা পড়ে। এরপর মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত করা হয়। এপ্রিল মাস জুড়ে এই সংখ্যা ওঠানামা করেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল খুব কম। একশ’র বেশি রোগী ধরা পড়েছে শুধু একদিন। গত দু’দিনে থাইল্যান্ডে কোনো নতুন রোগী ধরা পড়েনি। তবে থাইল্যান্ডে ১০ দিন হলো কড়াকড়ি তুলে নেয়া হয়েছে। সীমিত সংখ্যক মানুষের প্রবেশাধিকার দিয়ে রেস্তোরাঁ ও পার্ক খোলা হয়েছে।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসা ও পর্যটন কেন্দ্র দুবাই পাবলিক পার্কগুলো খুলে দিয়েছে এবং হোটেলে আগত অতিথিদেরকে ব্যক্তিগত সৈকতে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জারিকৃত নিষেধাজ্ঞাগুলো ধীরে ধীরে তুলে নেয়ার প্রক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

যে সাতটি এলাকা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠিত, তার মধ্যে জনবহুল হচ্ছে দুবাই। সেখানে গত ২৪ এপ্রিল থেকে লকডাউন শিথিল করা শুরু হয়েছে। প্রথমে ২৪ ঘন্টার কারফিউ সহজ করে শুধুমাত্র রাতে ৮ ঘন্টার জন্য জারি রাখা হয় এবং রেস্তোঁরা ও শপিংমলগুলো সীমিত আকারে চালু করা হয়। মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে নতুন আইনের আওতায় জনসাধারণের জন্য পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও বিভিন্ন পাবলিক প্লেস। পাশাপাশি, সমুদ্র তীরে থাকা হোটেলগুলোতে বিধি নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে। সেখানে পুনরায় বিচে আসা অতিথিরা হোটেলগুলোতে অবস্থান করতে পারবেন। তবে বার ও পর্যটকদের আকর্ষণ বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সারা দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি চালু রয়েছে।

অন্যদিকে, ইউরোপের মধ্যে সবার আগে জার্মানি সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করছে। শুক্রবার থেকে লুক্সেমবুর্গ ও আগামী ১৫ই জুন থেকে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে দেশটি। বুধবার জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সিহোফার বলেছেন, জুনের মাঝামাঝি পুরোপুরি খোলার আগে শুক্রবার থেকে ফ্রেঞ্চ, অস্ট্রিয়ান এবং সুইস সীমান্তে ব্যবসায়িক ভ্রমণ এবং পারিবারিক পরিদর্শন শুরু হবে। তবে এর জন্য বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অস্ট্রিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মতো ইউরোপের কিছু দেশ অদূর ভবিষ্যতে এমন পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি পর্যটনের উপর নির্ভরশীল দেশ হিসেবে গ্রিস বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সীমান্ত খোলার পথে এগোচ্ছে। বুধবার ইইউ কমিশন ইউরোপের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খোলার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তবে সংক্রমণ বাড়লে সীমান্ত আবার বন্ধ করা হতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: