বিপন্ন প্রায় তিতির পালনে নতুন সম্ভাবনা
ডেস্ক নিউজ:
প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়া তিতিরের নতুন করে বাণিজ্যিক লালন-পালনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সরকারি এক প্রকল্প চলছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান অনুষদে। ইতোমধ্যে ঘটতে শুরু করেছে এর সম্প্রসারণ।
অবিরাম শব্দ করে খামার মাতিয়ে রাখা এই পাখিটির নাম তিতির। ৭’শ বছর আগে বন-জঙ্গল থেকে গৃহপালিত পাখির কাতারে আসা আফ্রিকান এই পাখিটি ইউরোপ হয়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ সময়ে আসে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায়।
এদেশে চিনা মুরগি হিসেবে পাখিটির মোটামুটি পরিচিতি ঘটলেও বাণিজ্যিক পোল্ট্রির দাপটে পড়েছে বিলুপ্তির মুখে। কিন্তু ডিম আর মাংসের উৎস চিন্তা করলে এর দারুণ উপযোগিতার কথা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর সুবাস চন্দ্র দাস।
তিনি বলেন, দেশী মুরগি ছ’মাসে যখন বড় হয় তখন তাদের সাত’শ আট’শ গ্রাম বা সর্বোচ্চ এক কেজি ওজনের হয়। কিন্তু তিথির পাখি পনের’শ থেকে ষোল’শ গ্রামের হয় বা তার বেশিও হয়ে থাকে। দেশী মুরগির তুলনায় প্রায় দেড় গুণের তুলনা বেশি ওজনের হয় এ পাখি।
প্রফেসর সুবাস টানা ছয় বছর পর্যবেক্ষণের পর তুলে ধরছেন তিতিরের আরো নানা গুণের কথা।
বলেন, প্রতিকূলতার সঙ্গে যেমন বাণিজ্যিক মুরগি চলতে পারে না কিন্তু তিথি চলতে পারে। ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন ও তা পালনের সবগুলি ধাপ এই গবেষণা খামারে শেষ হওয়ার পর এখন তিতির নতুন ছড়াতে শুরু করেছে উদ্যোক্তাদের খামারে।
খামারি বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন তিতিরের খাদ্য খরচও পোলিট্র বা দেশী মুরগীর তুলনায়ও অনেক কম।
খামারি ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমার জানা মতে এমন কোনো ঘাস নেই যা তিথির পাখি খায় না। প্রকৃতির খাবার খেয়েই এরা বেঁচে থাকে। ২৪ ঘণ্টায় এরা ছয় কেজি ধান খায়। ছয় কেজি ধানের দাম এক’শ টাকা কিন্তু পোল্ট্রি ফিট একবেলা খাওয়াতে লাগল চার’শ টাকা।
সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন
You must be logged in to post a comment.