গবাদিপশুর ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণে ৩৫ লাখ ডোজ টিকা আমদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গবাদিপশুর ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণে রাশিয়া থেকে উন্নতমানের ৩৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আমদানি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি এ ভ্যাকসিন আমদানি করা হয়।

দেশের গবাদিপশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাবনা, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও ভোলা জেলায় আমদানিকৃত এ ভ্যাকসিনের যথাক্রমে ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ ডোজ, ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ ডোজ, ৬ লাখ ৭০ হাজার ডোজ এবং ৭ লাখ ৯৫ হাজার ডোজ প্রেরণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, গবাদিপশুর ক্ষুরারোগ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের অর্থনৈতিক লাভের নিশ্চয়তা প্রদান ও বিশ্ববাজারে দেশের প্রাণিজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। এ রোগে দেশের ডেইরি খাত ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বিধায় পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমদানি করছে সরকার।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক কোটি ৩৭ লাখ ১৪ হাজার ২৮৬ ডোজ ভ্যাকসিনের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে যার প্রথম ধাপে ৩৫ লাখ ডোজ অতিসম্প্রতি রাশিয়া থেকে দেশে এসেছে। এর মাধ্যমে দেশের বিপুল সংখ্যক গরু, ছাগল, মহিষ এবং ভেড়া ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনা হচ্ছে যা দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা মহামারির এ সময়ে খামারিদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এ ভ্যাকসিন কার্যকর ভূমিকা রাখবে। করোনা সংকটে সরকার খামারিদের ক্ষয়ক্ষতি কমানো ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক ও উৎপাদনশীলতার দিক থেকে গবাদিপশুর সবচেয়ে মারাত্মক সংক্রামক ব্যাধি ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ যা সংক্ষেপে এফএমডি নামে পরিচিত। সাধারণত গবাদিপশুর ক্ষুরে বেশি হয় বলে একে ক্ষুরারোগ বলা হয়। এ রোগ দেশের ডেইরি শিল্পের অন্যতম প্রধান ক্ষতিকারক রোগ।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3