বেওয়ারিশ কুকুরের স্বর্গরাজ্য দিনাজপুর!

দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বেওয়ারিশ কুকুরের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে, দিনাজপুর শহর। এসব কুকুর মানুষের হাত থেকে প্রতিনিয়ত খাদ্য কেড়ে নিচ্ছে। বাধা দিলেই কামড়ে ধরছে,মানুষকে। এ শহরে প্রতিদিন কমপক্ষে গড়ে ৮ জনকে কামড় দিচ্ছে কুকুর। বেওয়ারিশ কুকুর ধরার জন্য লাখ লাখ টাকা বাজেট পেশ করলেও পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও পালন করছে নীরব ভুমিকা। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে পৌরবাসী।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে কুকুর কামড়ানোর ভ্যাকসিন নিতে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় শতাধিক মানুষ লাইন ধরছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ জন্য হিমসিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছেন,দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিনাত আমান।

পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা ও গুরুত্বহীনতার কারনে দিন দিন বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন পৌরবাসী। মাঝে মধ্যে বেওয়ারিশ কুকুরের ধরার অভিযান চালানো হলেও বেশ কিছু দিন থেকে তা বন্ধ রয়েছে। ফলে দিনদিন কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুরা এই কুকুরের হামলার শিকার হচ্ছে। শিশু কাছ থেকে কুকুর প্রকাশ্যে বিস্কুট, কেকসহ নানা খাদ্য দ্রব্য ছিনিয়ে নিচ্ছে।

অনেক শিশু ও নানা বয়সের মানুষ কুকুরের কামড় খেয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। দিনাজপুর শহরের চাউলিয়াপট্রি, মাটির মসজিদ মোড়, সাংবাদিক মোড়, রামনগর চামড়াপট্টি,দক্ষিন বালুয়াডাঙ্গা মিনার মসজিদ মোড় সংলগ্ন ঈদগা মাঠটি যেন কুকুরদের একটি আড্ডা খানায় পরিনত হয়। সে সময় সেখান দিয়ে যে কোন সাধারণ মানুষ চলাচল করতে ভয় পায়। অন্যদিকে এন.এ মার্কেটের মাংসের বাজারে ও রামনগর মাংসের বাজারের কুকুর এতই ভয়ংকর যে মানুষ হাত থেকে মাছ, মাংস, বিভিন্ন খাবারের ব্যাগ ঝাপটি মেরে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

এছাড়া বাস টার্মিনাল, সুইহারী, চৌরঙ্গী মোড়, কালিতলা, মর্ডাণ মোড়, লিলিমোড়, বাহাদুর বাজার, রেল স্টেশন, পাহারপুর, অন্ধ হাফের মোড়, বালুয়াডাঙ্গা ট্যাম্পু ষ্ট্যান্ড ও বালুবাড়ীসহ দিনাজপুর শহরের প্রতিটি মহল্লায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে যারা রাতে কর্মস্থল থেকে বাড়ী ফিরা,নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়া বিপাকে পড়েছেন মানুষ। শিশুরা কুকুরের অত্যারে একা চলা ফেরা করার বা স্কুল যাওয়ার সাহস পায়না। এব্যাপাওে পৌরকর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন আশা করছেন পৌরবাসী।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3