মাটির পাত্রে অধিক ডিম ফোটাতে লাভবান হচ্ছে জনগণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ফুলবাড়ী এডিপি নবকলি প্রকল্পের মাধ্যমে মাটির তৈরী ডিম বসানের পাত্র ব্যবহারের মাধ্যমে এলাকার জনগন উপকৃত হচ্ছেন। আমাদের দেশে দেশী মুরগির উৎপাদন কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ডিম বসানের উপযুক্ত পাত্র ব্যবহার না করা।

অত্র এলাকায় ডিম বসানের জন্য সাধারনত ছোট বাঁশের ঝুড়ি, টিনের কড়াই ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এই সব পাত্র অনুন্নত ও ব্যয়বহুল। এই অবস্থা বিশ্লেষন সাপেক্ষে-ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ফুলবাড়ী এডিপি নবকলি প্রকল্প উপকারভোগীদের মধ্যে মুরগী লালন-পালন বিষয়ক ০২ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মাটির তৈরী ডিম বসানোর পাত্র ব্যবহারে উপর জোর দিচ্ছেন।

গত বছর ৩০০ জন উপকারী ভোগী এই পাত্র তৈরী ও ব্যবহারের উপর প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। মোট উপকারীভোগীর ৭৫ ভাগ বর্তমানে এই পদ্ধতি অনুসরন করছেন ।এই টুকরির আকার হবে তলা ১০ ইঞ্চি বা পোনে একহাত,উচ্চতা ৭ ইঞ্চি এবং উপরিভাগ হবে ১৬ ইঞ্চি অথবা প্রায় হাত।
এই পদ্ধতির সুবিধা হল:

১। মুরগী ডিমে সুন্দর ভাবে তাপ দিতে পারে ফলে ডিম ফোটার হার বৃদ্ধি পায়।
২। মুরগি ডিম ভালভাবে নাড়াচাড়া করতে পারে ও সমানভাবে তাপ দিতে পারে ।
৩। পাত্রের সামনে খাবার ও পানির পাত্র থাকে, যার দ্বারা সহজেই পানি ও খাবার গ্রহন করতে পারে ফলে মুরগিকে বেশী বেশী বাইরে যাওয়ার দরকার পড়ে না ।
৪। মুরগী যাওয়া আসায় টুকরি উল্টে যায় না।
৫। খরচ কম হয় ।

মাঠ পর্যায়ে উপকারীভোগীদের সহায়তার জন্য প্রকল্পের মাঠকর্মী ও কর্মকর্তারা সদা সর্বদা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এই পাত্র তৈরী ও ব্যবহারে উপর এ কথা জানান ঊষাহার গ্রামের লাভলী বেগম(ইউনিয়ন:এলুয়ারী)। উপকারভোগীর বাইরে এলাকার লোকজনও (তাজমুননাহার, স্বপ্না) এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন এবং এই জন্য ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ফুলবাড়ী এডিপি নবকলি প্রকল্পকে এরকম কারিগরী সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3