র‌্যাম্প মডেল থেকে জঙ্গি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর যুবক মেহেদী হাসান (২৯) পড়াশুনা করেছেন দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটিতে। বিবিএ সম্পন্ন করার পর কিছুদিন কাজ করেছেন র‌্যাম্প মডেল হিসেবে। পাশাপাশি করেছেন গৃহসজ্জার জিনিসপত্রের ব্যবসা। কিন্তু ২০১৫ সালে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তিনি যুক্ত হন জঙ্গিগোষ্ঠী জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।

তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ বনশ্রী এলাকা থেকে জঙ্গি কমান্ডার মেহেদী হাসান ওরফে জিব্রিলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন সেট, একটি পাসপোর্ট, উগ্রবাদী বইসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানের বাবার নাম খোরশেদ আলম। তার বাড়ি পটুয়াখালির বাউফলের রাজাপুরে। ২০১৫ সালে তিনি সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হন। এ গ্রুপের দুটি অপারেশন ব্রিগেড রয়েছে। একটি ‘বদর স্কোয়াড ব্রিগেড’ ও অন্যটি ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী’। এর মধ্যে মেহেদী ‘ব্রিগেড আদ্-দার-ই-কুতনী’র কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ব্রিগেডটি বদর স্কোয়াডের ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করত।

র‌্যাব কর্মকর্তা তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, “বদর ব্রিগেড হোলি আর্টিজানসহ বিভিন্ন হামলায় ভূমিকা রাখে। তবে দেশব্যাপী জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বদর ব্রিগেডের বেশির ভাগ সদস্য নিহত ও আটক হয়। এতে ব্রিগেডটি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ব্যাকআপ ব্রিগেড হিসেবে ‘আদ্-দার-ই-কুতনী’ সদস্য সংগ্রহ করে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করে। মেহেদী এসব সদস্যদের আনুগত্য পরীক্ষার জন্য শপথ (বাইয়াত) পাঠ করাতো। আর এর ভিডিও ধারণ করে তাদের চ্যানেলগুলোতে পাঠাতো।”

মেহেদীর দায়িত্ব সম্পর্কে এই র‌্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, “দেশে ও দেশের বাইরে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িতদের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্থ ও অর্থের মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহের কাজও তিনি করতেন। নারী সদস্যরাও তার মাধ্যমে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। মেহেদীর কাছ থেকে উদ্ধার করা আলামত থেকে জানা যায়, ‘আদ্-দার-ই-কুতনী’ অপারেশনাল সক্ষমতা অর্জন ও যে কোনও স্থানে নাশকতার জন্য সক্ষম।”

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: