যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী

নিউজ ডেস্কঃ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ শনিবার দুপুরে দিকে তাঁর ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এ সময় তিনি দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ যবিপ্রবির শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম উদ্বোধন করবেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন দুপর ১২টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ক্যাম্পাসের গিয়ে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম উদ্বোধন এবং পরিদর্শন করবেন।

যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমদ, যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব ও সমাপনী বক্তব্য দেবেন শরীর চর্চা শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক ড. তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন যবিপ্রবির ডিনস্ কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. নাসিম রেজা।

এদিকে, ওইদিন সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ত্যাগের আগে যবিপ্রবির গবেষণাগারসহ অন্যান্য স্থাপনা পরিদর্শনেরও কথা রয়েছে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম। ২২ হাজার ২৮০ বর্গফুটের আন্তর্জাতিক মানের এই জিমনেশিয়ামটিতে ফুটসাল, বাস্কেট, ভলিবল, টেবিলটেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে খেলায়াড়দের ফিটনেসের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি কন্ডিশনাল ল্যাব। শুধু খেলায়াড়দের জন্য নয়, যবিপ্রবির শিক্ষার্থীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও কন্ডিশনাল ল্যাবে গিয়ে ব্যায়াম সহ জিমনেশিয়ামের অন্যান্য সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া জিমনেশিয়ামের প্রবেশমুখে তৈরি করা হচ্ছে শেখ রাসেলের একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা সড়ক সংলগ্ন সুউচ্চ এই ভবনের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শুরুর দিকে। জিমনেশিয়ামটির প্রকল্প পরিচালক এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগে চেয়ারম্যান ড. জাফিরুল ইসলাম বলেন, মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে পর এটিই দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ জিমনেশিয়াম।আমাদের এই জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। জিমনেশিয়ামটির সঙ্গে আমাদের একটি আন্তর্জাতিকমানের কন্ডিশনাল ল্যাবও থাকবে। এখানে খেলোয়াড়দের শারীরিক অবস্থা ও তাদের ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করা যাবে।

এমনকি জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করতে পারব এখানে। এ ছাড়াও এই কন্ডিশনাল ল্যাবে আমরা সাধারণ মানুষসহ খেলোয়াড়দের কিভাবে শারীরিক সক্ষমতা ও পেশীর কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেসব নিয়ে গবেষণা করতে পারব। খেলোয়াড়রা কিভাবে কম শক্তি ব্যয় করে সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে পারে সেই ধরনের পরীক্ষা ও গবেষণা করা হবে এখানে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ধরনের একটি আন্তর্জাতিকমানের জিমনেশিয়াম যবিপ্রবির প্রাঙ্গণে হওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমি বিশ্বাস করি যবিপ্রবির এই জিমনেশিয়ামটি আন্তর্জাতিকমানের ইনডোর খেলা যেমন বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদিতে একটি ভেন্যু হিসেবে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবে।

এছাড়াও আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে আমাদের টিএসসি সম্পন্ন হবে। সেখানকার ডরমিটরিতে চাইলে খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা করা যাবে। জিমনেশিয়ামটি আমাদের শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় ও জাতীয় ইনডোর গেমগুলোতে অনেক বড় অবদান রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে এই ধরনের অবদান রাখতে পারা অবশ্যই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

সুত্র: কালের কন্ঠ

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: