“আল-আকসা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে”

mosque

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ “পূর্ব জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে” বলে জানিয়েছেন গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া।

তিনি বলেন, গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের পরাজয় ভবিষ্যতের জন্য বড় ধরনের ঘটনা হবে। তিনি আরো বলেন, এই সঙ্ঘাতে জেরুসালেম মূল বিষয় হিসেবেই রয়ে গেছে।

মসজিদুল আকসা চত্ত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে ইসরাইলকে আলটিমেটাম দেয় গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আলটিমেটাম শেষ হওয়ার পর গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামাস রকেট হামলা শুরু করে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ইসরাইলি ভূখণ্ডে মোট চার হাজার তিন শ’ ৬০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোমে বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করা হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় ইসরাইলের ১২ অধিবাসী নিহত ও সাত শ’ ৯৬ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

ইসরাইল ভূখণ্ডে হামাসের রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে রাত থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমান হামলায় ৬৫ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হন। হামলায় আহত হয়েছেন আরো এক হাজার নয় শ’ গাজাবাসী।

গাজায় ইসরাইলের টানা ১১ দিনের আগ্রাসনের পর বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি গতকাল (শুক্রবার) থেকে কার্যকর হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়ার পর গাজার জনগণ রাজপথে বিজয় মিছিল করেছেন। এ সময় বিধ্বস্ত ভবনের সামনে তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন। ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের কারণে গাজার জনগণ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারেন নি। গতকাল গাজা উপত্যকা জুড়ে সেই স্থগিত ঈদ উদযাপন হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: ,