রূপার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর

নিউজ ডেস্কঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার জাকিয়া সুলতানা রূপার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজনের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। পরে তার ভাই হাফিজুর রহমানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয় বলে জানান মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম । হাফিজুর রহমান জানান, মরদেহ নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে তারা বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।

এর আগে রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পরিবারকে হস্তান্তরের আদেশ দেন আদালত। নিহত রূপার বড় ভাইয়ের এক আবেদনের পরিপেক্ষিতে ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া এই আদেশ দেন।
২৫ আগস্ট শুক্রবার রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে রূপাকে ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে হত্যা করেন ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকেরা। পরে তার লাশ টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রাখা হয়। রাত ১১টার দিকে মধুপুর থানার পুলিশ রূপার লাশ উদ্ধার করে। ২৬ আগস্ট শনিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রূপার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই দিনই টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে তাকে দাফন করে পুলিশ।

দাফনের একদিন পর সোমবার রূপার বড় ভাই হাফিজুল একটি পত্রিকায় বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সংবাদ দেখে মধুপুর থানায় এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন। পরে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে রূপার লাশ তুলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। এ জন্য রূপার বড় ভাই পুলিশের কাছে আবেদন করেন। পরে পুলিশ ২৮ আগস্ট সোমবার রাতে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহগামী ছোঁয়া পরিবহন বাসটি মধুপুর অতিক্রম করার সময় আটক করে এবং বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর রহমান (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) বুধবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। একদিন আগে মঙ্গলবার বাসের চালকের তিন সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা পাঁচজনই ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3