স্বামী-সতীনের পাশবিক নির্যাতনে মৃত্যুর মুখে নুরুন্নাহার

আহমেদ নাসিম আনসারী, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
স্বামী ও সতীনের হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। হসপাতালের বারান্দায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে নুরুন্নাহার বেগম। সপ্তাহব্যাপী অমানুষিক নির্যাতনের পর তার শরীরের অনেকাংশে ধরেছে পচন আর নতুন ক্ষত দিয়ে ঝরছে রক্ত। আর এমন অমানবিক নির্যাতন দেখে হতবাক এলাকাবাসী।

সবাই বলছেন, এ কেমন পাশবিকতা? এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে স্বামী শহিদুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা খাতুন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৪ বছর আগে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হাজরা গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে শহিদুলের সঙ্গে বিয়ে হয় চট্টগামের সাতকানিয়া উপজেলার বকরা-আলী বিল গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে নুরুন্নাহারের। বিয়ের পরে ২টি সন্তানও জন্ম নেয় তাদের। ৭ বছর পরে শহিদুল আবারও বিয়ে করেন।

এরপর থেকেই শুরু হয় নুরুন্নাহারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। গত ২৫ দিন আগে তার স্বামী নিজ বাড়িতে তাদের নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার একটি বাড়ী নিয়ে বসবাস করছিল। আর সেই সাথে চলছিল নুরুন্নাহারের উপর লাঠি, হাতুড়ি ও রড দিয়ে নির্যাতন। গত রাতে ওই গৃহবধূর আর্তচিৎকারে প্রতিবেশী টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাঃ দেবাশীশ রায় জানান, রুগীর অবস্থা শংটাপন্ন। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3