একুশে পদক পাচ্ছেন বরেণ্য কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. এম এ সাত্তার মন্ডল

রোহান ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, বরেণ্য কৃষি অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল একুশে পদক-২০২২ এ ভূষিত হয়েছেন। তিনি ‘গবেষণা’ ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ড. এম এ সাত্তার মন্ডল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন (১৯৭২-১৯৭৪)। এছাড়া লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে ১৯৭৯ সনে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোষ্ট ডক্টরাল স্টাডি সম্পন্ন করেন (১৯৮৭-৮৮) ।

তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম উপাচার্য ছিলেন। এর আগে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক হিসাবে কৃষি অর্থনীতি বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের অন্যতম সদস্য হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ড. সাত্তার মন্ডল কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, সিন্ডিকেট সদস্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটির গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়নের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ড. সাত্তার মন্ডলের কয়েক শতাধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ, বই ও সেমিনার পেপার এবং জনপ্রিয় নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ জার্নাল অব এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স এর সম্পাদক ছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইরিগেশন অ্যান্ড ড্রেনেজ-সিস্টেমের সদস্য ছিলেন তিনি সুদীর্ঘ সময়।

অধ্যাপক মন্ডল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতির পদ অলংকৃত করা ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন পেশাগত সংগঠনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থেকে দেশে ও বহির্বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বলকল্পে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন।

উল্লেখ্য এ বছর ভাষা আন্দোলনে দুজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে চারজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে দুজন, সমাজসেবায় দুজন, গবেষণায় চারজন (দলগতভাবে তিনজন) একুশে পদক পাচ্ছেন। এছাড়া সাংবাদিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষায় একজন করে একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ চার লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্যবিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  

Tags: