
ডেসটিনির রফিকুলের ১২, ও হারুনের ৪ বছরের সাজা

নিউজ ডেস্ক:
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের ১২ বছর ও চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের ৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন।
এর আগে গত ২৭ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
দুদক কৌঁসলী মীর আহম্মেদ আলী সালাম বলেন, এই মামলায় আসামিদের নামে আমরা সাক্ষ্য প্রমাণ যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। আইনানুযায়ী আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদক এ মামলা দায়ের করা হয়। ১০ বছর পর এবার সেই মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে। ডেসটিনির শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ-আত্মসাতের আরেকটি মামলা বিচারাধীন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ায় এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ২২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এছাড়া আসামিদের মধ্যে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন।
দুদকের উপ পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই মামলা করেন। আর সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়।
You must be logged in to post a comment.