স্কুলের খেলার মাঠে মাছ চাষ!

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি এখন মাছ চাষিদের দখলে। বর্ষার কারণে জলমগ্ন হওয়ায় স্থানীয় কয়েকজন মাছচাষি গায়ের জোরে পুরো মাঠটিকেই মাছের খামার বানিয়ে ফেলেছে। তারা নেট দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করছে।

কতৃপক্ষ জানায়, এই স্কুলটি আনুলিয়া এলাকার একটি স্বনামধন্য স্কুল। স্থানীয় সাইক্লোন শেল্টারে স্থাপিত স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩ ৯১ জন। স্কুল শুরুর আগে ও পরে স্কুলমাঠটি ছাত্রছাত্রীদের কলরবে মুখর হয়ে উঠতো। বর্তমানে মাঠটি ডুবে থাকায় খেলাধুলার কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে প্রতিদিন জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের অনুষ্ঠান স্কুলের দ্বিতীয় তলায় কোন রকমে সেরে নিতে হচ্ছে।

মাঠের এই দুরাবস্থাকেই মওকা হিসাবে বেছে নিয়েছেন মাছচাষিরা। তারা নেট জাল উল্টো মশারির মত করে স্থাপন করে তার মধ্যে মাছের রেণু চাষ করছে। রেনু বড় একটু বড় হলেই (চালাই পোনা) ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।

অভিযোগ, এই মাছ চাষে ভাল আয় হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুই পাচ্ছেনা। বরং মাছের জন্য খাদ্য ব্যবহার প্রক্রিয়ায় নষ্ট হচ্ছে মাঠের পরিবেশ।

এভাবে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষের ক্ষেত হিসাবে স্কুলমাঠ ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি হাঁটু পানিতে খেলার সুযোগও থাকছে না।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, আগে মাঠের পানি নিস্কাশন হতো যে পাশ দিয়ে সেখানে ঘরবাড়ি হয়ে যাওয়ায় পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ৫-৬ বছর যাবৎ স্কুলের মাঠ দুই ফুট থেকে আড়াই ফুট পানিতে তলিয়ে থাকে। ফলে পুরো বর্ষা মৌসুম এবং পরবর্তীতে পানি শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত মাঠটি ব্যবহার করা যায়না।

স্কুলটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুল মাঠে মাছ চাষ না করতে নিষেধ করলেও কোনো ফল হয়না। স্থানীয় শহিদুল গাজী, ফারুক হোসেন,কলাম গাজী ও হোসেন আলীসহ ১০ থেকে ১৫ জন গায়ের জোরে মাছ চাষ করছে।’

সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।’

  •  
  •  
  •  
  •