গত এক বছরে করোনার চেয়ে চার গুণ মৃত্যু বেশি যক্ষ্মায়!

zokkha

নিউজ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে গত এক বছরে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে আট হাজারের কিছু বেশি মানুষের। অন্যদিকে, যক্ষ্মা রোগে গত এক বছরে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের। এ হিসাবে করোনার তুলনায় যক্ষ্মা রোগে চার গুণ বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন।

জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, দেশে প্রতিদিন যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে ১০৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। প্রতিদিন শনাক্ত হয় ৯৮৭ জন।

অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বলছে, প্রতিদিন যক্ষ্মা রোগে ১৮৫ জন মৃত্যুবরণ করছেন। এর বিপরীতে করোনায় প্রতিদিন গড়ে ২০ জন মৃত্যুবরণ করছেন।

এই হিসাব বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, করোনার তুলনায় যক্ষ্মা রোগে ৯ গুণ বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। সচেতন না হলে যক্ষ্মায় মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন সংশ্লিষ্টরা।

১৮৮২ সালে ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট কক যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস আবিষ্কার করেন।

যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হচ্ছে।

যক্ষ্মা বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশে এবারের যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মুজিববর্ষের অঙ্গিকার যক্ষ্মা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার’।

  •  
  •  
  •  
  •