ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট এর শিক্ষা কার্যক্রম এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ‘শিখি-করি-খাই’ কর্মসুচি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

ঝিনাইদহ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ২০০৬ সালে ২১.৩৮ একর জমির উপর ১০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রশিক্ষন কেন্দ্রে রয়েছে ১০ টি ক্লাস রুমের একটি তিনতলা ভবন, ৫ টি ল্যবিরেটরী, একটি লাইব্রেরি, একটি সভাকক্ষ, ছাত্র হোষ্টেল, ছাত্রী হোষ্টেল, অধ্যক্ষের বাসভবন, গুদামঘর সহ বেশ কিছু ভবন রয়েছে। এ পর্যন্ত তিনটি সেমিস্টারে মোট ২৭২ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। যারা কৃষি ডিপ্লোমা কোর্স শেষ করে ফিরে যাবে। দেশের সরকারি, বে-সরকারি কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরাই আগামিতে হবেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা।

ঝিনাইদহের কৃষি প্রশিক্ষন ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষক মোঃ নাজিম উদ্দিন জানান, কিভাবে ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত জমি চাষযোগ্য করে তোলা যায়। পাশাপাশি সেখানে শিক্ষার্থীদেও কিভাবে সংযুক্ত করা যায়। এই ভাবনা থেকেই শুরু শিখি-করি-খাই কর্মসুচি। ‘শিকখা’ শিখি-করি-খাই।
তিনি আরও জানান, ৬০ শতক পরিত্যক্ত জমি চাষযোগ্য করে তুলেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। গত দুই বছরে শিক্ষার্থীরা চাষ করে ১৪৯ কেজি লাল শাক, ১৮২ কেজি পালন শাক, ১৩৯ কেজি মূলা, ৪৯৮ কেজি বাঁধাকপি, ৮৩ কেজি ধনেপাতা, ৫০ কেজি বেগুন, ৫০ কেজি ঝাড়সিম, ১০০ কেজি চায়না কপি, ৩০ কেজি শালগম ও ৩৫০ কেজি মাছ উৎপাদর করেছে।

মূখ্য প্রশিক্ষক মাহফুজ হোসেন মিরদাহ জানান, বর্তমানে ৩৫ টি বেডে সবজিসহ নানা ফসলের চাষ রয়েছে। ২৭ টি দলে বিভক্ত হয়ে ছেলে-মেয়েরা চাষ করছেন। তাদের রোপন ও বপন করা ফসলের মধ্যে লালশাক, পালং শাক, মূলা, টমেটো, বেগুন, দেশী সীম, কুমড়া, লাউ, বাঁধাকপি, গাজর, ধনেপাতা মটরশুটিসহ ২৩ প্রকার সবজি রয়েছে। তারা ক্যাম্পাস ঘিরে ৫ শত মানকচু, ১৫০ টি শজিনা ডাল রোপন, ৭০ টি পেয়ারা গাছ রোপন, ১ শত আমের চারা রোপন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিক্ষার্থী মিরা বিশ্বাস জানান, বাবা সনাতন বিশ্বাস একজন কৃষক। তারও ইচ্ছা ছিল কৃষি কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করা। নারী হলেও তার আগ্রহ কৃষির দিকে। তাই ভর্তি হয়েছেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর কৃষি ফার্মের পাতিলা এলাকা থেকে এসেছেন আরেক শিক্ষার্থী সাথী রাণী জানান, এখানে এসে হাতে-কলমে শিক্ষা নিয়ে জীবনে অনেক কিছু শিখতে পারছেন। যা জীবন গঠনে আগামিতে কাজে আসবে বলে মন্তব্য করেন।

শিখি-করি-খাই কার্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর মাহফুজ হোসেন মিরদাহ জানান, এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝিনাইদহ’র কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীবৃন্দ কৃষি ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠছে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  

Tags: