ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর সর্বশেষ তথ্য

নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর প্রভাবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে আগামী ৪৮ঘণ্টা দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসও হতে পারে বলে আশঙ্কা করাহচ্ছে। এছাড়া উপকূলে থেকে ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

মোংলা পায়রা সমুদ্রবন্দরকে নম্বর বিপদসংকেত, চট্টগ্রাম কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে নম্বর বিপদসংকেত দেখাতে বলাহয়েছে। সিত্রাং মঙ্গলবার ভোর কিংবা সকালের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

সোমবার সকাল ৬টায় সিত্রাং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েমঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোর বা সকালে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বরিশালচট্টগ্রাম বন্দর অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে সকাল ৯টার দিকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মোংলা পায়রাবন্দরকে নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে, চট্টগ্রাম কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার এবংতাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহকে নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ছাড়াও সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং চট্টগ্রাম কক্সবাজার নদীবন্দর সমূহকে নম্বর নৌবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৫০৬০ কিলোমিটারবেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ চরসমূহের স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িতজলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়েথাকতে বলা হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধরয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3