নতুন হাইব্রিড ব্রি ধান-৭ চাষে কৃষকের সাফল্য

নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ধানের নতুন জাত হাইব্রিড ব্রি ধান-৭ চাষে ভোলা জেলায়
অভাবনীয় সাফল্য। ধান কাটা উপলক্ষে উক্ত জেলায় মাঠ দিবসও পালন করা হয়েছে। কৃষকদের ভাষ্যমতে, নতুন জাতের এ ধানে কম সার ও কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ্যাৎ কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া গিয়েছে।

গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধান কাটা শুরু করে ভোলার কৃষি বিভাগ। ধান কাটার পর পরিসংখ্যানে দেখা যায়- প্রতি হেক্টরে সাত মেট্রিক টন ধান হয়েছে।

দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাসস্থানের জন্য ক্রমাগত ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করা জরুরি। তারই প্রেক্ষিতে গত এপ্রিল মাসে ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ‘সবুজ বাংলা কৃষি খামারে’ পরীক্ষামূলক ৮ হেক্টর জমিতে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন উদ্ভাবিত ব্রি হাইব্রিড ধান-৭ জাতের আউশ ধান চাষ করা হয়।
এই জাতের ধান ১১০ দিনের মাথায় কাটা সম্ভব হয় এবং পরবর্তীতে পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে সাত মেট্রিক টন ধানের ফলন পাওয়া গিয়েছে।

উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, এবার আমন ধানের মতো আউশ ধানেও ভালো ফলন হয়েছে। যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনাবৃষ্টির কারণে এ ধান উৎপাদনে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। তারপরও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আমি খুশি।আমরা সাধারণত আউশ ধান হেক্টর প্রতি ৩-৪ মেট্রিক টন ফলন পাই। কিন্তু নতুন জাতের এ ধানে সাত মেট্রিক টনের উপরে ফলন হয়েছে; যা আমাদের লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ প্রায়। আমরা আশাবাদী আগামী বছরে যদি পুরো জমিতে এ জাতের ধান আবাদ করা হয় তাহলে আমাদের ভোলায় ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২.৫ থেকে ৫.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তাই সব কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদের পাশাপাশি আধুনিক কৃষিতে এগিয়ে আসলে একদিকে নিজেও লাভবান হবেন, অপরদিকে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: , ,