বৈরী আবহাওয়া মোকাবেলায় কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে- কৃষিমন্ত্রী মো আব্দুর রাজ্জাক

নিউজ ডেস্ক: গতকাল রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সংলাপে এসব তথ্য উঠে আসে। ‘বৈরী আবহাওয়ায় কৃষিজ উৎপাদন: অস্থিতিশীল বৈশ্বিক কৃষিপণ্যের বাণিজ্য’ শীর্ষক সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ)। সভায় বক্তারা দেশের কৃষি খাতের উন্নয়নের জন্য একর প্রতি ফসলের উৎপাদন বাড়াতে আরও বেশি প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকে জোর দেওয়ার কথা বলেন।

সভায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে বৈরী আবহাওয়া সারা বিশ্বের জন্যই চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এখানে চ্যালেঞ্জ আরও বেশি। ভবিষ্যতে বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলার জন্যও গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দের পাশাপাশি কৃষিকে আধুনিক ও যান্ত্রিকীকরণে কাজ চলছে। কাজেই বৈরী আবহাওয়া আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’

হাওরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বোরো ধান বিপদে পড়েছে। তবে যথাসময়ে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টর দেওয়ায় হাওরে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে। বৈরী পরিবেশ মোকাবিলায় সুনামগঞ্জ জেলায় ৫৭৭টি কম্বাইন্ড হারভেস্টর ধান কাটায় ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলেই বৈরী পরিবেশের মধ্যেও সুনামগঞ্জে এখন পর্যন্ত ৭৭ শতাংশ বোরো ধান কাটা সম্ভব হয়েছে। তাই বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলায় দেশে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ বাড়াতে হবে।

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশকে তুলনা করে বাংলাদেশের অর্জনকে খাটো করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি জাতি তার আত্মশক্তি ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। অহেতুক ও ভিত্তিহীনভাবে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও অর্জনকে ছোট করা হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিদের সরকারের উদ্যোগে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। করোনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুধ, ডিম, মাছ, মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে উৎপাদক, সরবরাহকারী, বিপণনকারী ও ভোক্তারা লাভবান হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রি হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3