নতুন প্রযুক্তিতে ধানের জাত উদ্ভাবনের সময় পাঁচ বছর কমবে
নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) সহায়তায় নেওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ‘জেনেটিক গেইন’–এর মাধ্যমে ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনের সময়কাল চার থেকে পাঁচ বছর কমিয়ে আনা যাবে। তাতে ৮-১০ বছরের মধ্যেই ধানের নতুন জাত পাওয়া যাবে।
বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়নে ইরি ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
শনিবার(১১ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ইরি আয়োজিত এগ্রি (এক্সিলারেটেড জেনেটিক গেইন ইন রাইস) নেটওয়ার্ক ট্রায়াল ২০২৩-এর বার্ষিক অগ্রগতি সভায় এসব কথা জানানো হয়। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সেশনে ব্রি, ইরি, বিনাসহ বিভিন্ন ধান গবেষণাকারী সংস্থা এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নত জাতের ধান গবেষণার জন্য এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে মোট ১১টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রির মহাপরিচালক মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, বিএমজিএফের আর্থিক সহায়তায় এবং ইরির কারিগরি সহায়তায় এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এতে ধানের জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময় পাঁচ-সাত বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের (বিনা) মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন,এগ্রি নেটওয়ার্কস প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধানের জেনেটিক গেইন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। বর্তমানে মাঠে প্রচলিত বেশির ভাগ জনপ্রিয় ধানের জাতের বয়স ২৮-৩০ বছরের বেশি। অনেকগুলো নতুন জাত উদ্ভাবন করা হলেও সেগুলো আগের জনপ্রিয় জাতগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে পারেনি। ধান উৎপাদনে জেনেটিক গেইন বাড়ানোর জন্য ধানের প্রজনন চক্রের সময়কাল সংক্ষিপ্ত করা, প্রজনন লাইন নির্বাচন নির্ভুল করা, প্রজনন তথ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক কৌশল ব্যবহার এবং ব্যাপকভাবে সরেজমিন মাঠ গবেষণা করে ভৌগোলকি স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদাভিত্তিক জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ইরির নেতৃত্বে কাজ করছে দেশীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।