তিস্তা সেচ ক্যানেলের বাঁধ ভেঙ্গে জমির ফসল প্লাবিত

নীলফামারী সংবাদদাতা:
নীলফামারীতে তিস্তা সেচ ক্যানেলের দিনাজপুর খালের বাম তীর বাঁধ ধ্বসে শতাধিক একর ফসলী জমি প্লাবিত হয়েছে।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই গ্রামে দিনাজপুর ক্যানেলের বাম তীর বাঁধে ইঁদুরের গর্ত থেকে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এতে ঐ ক্যানেলের অন্তত ২০ ফিট ভেঙ্গে ক্যানেলের পাশ্ববর্তী অন্তত শতাধিক একর জমির আধা-পাকা ও কেটে রাখা আমন ধান এবং রবি শস্য পানিতে প্লাবিত হয়।

ক্যানেলে সংলগ্ন সিংদই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আলতাব হোসেন বলেন, শনিবার সারাদিন ক্যানেল পানি শুন্য থাকলেও সন্ধ্যার পর হঠ্যাৎ ক্যানেলে পানি ছাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে পানির চাপে ক্যানেলের বাঁধে ইঁদুরের গর্তে পানি প্রবেশ হয়ে এই ভাঙ্গনের ঘটনা ঘটে।’

একই গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান ভুট্ট্র জানান, ‘রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠ্যাৎ শো-শো আওয়াজ পায়। বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি ক্যানেলের বাঁধ ভেঙ্গে আমার দুই বিঘা জমিসহ আসেপাশের অন্তত শতাধিক একর জমিতে খালের পানি স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এসময় আমার এক বিঘা জমিতে থাকা পাকা-কাটা আমন ধান হাঁটু সমান ক্যানেলের কাদামাটিতে তলিয়ে গেছে, এর বাকী এক বিঘা জমিতে থাকা কাটা পাকা ধান ভেসে গেছে।’

অপরদিকে একই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সামসুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ভাঙ্গনের খবর দেয়ার জন্য নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ফোনে কল করা হলেও কেউ ফোন ধরেনি।

তিনি আরো আভিযোগ করে বলেন, ক্যানেলের বাঁধ গুলোতে ইঁদুর আর শিয়ালের গর্তে ভরা। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন সংষ্কার না করার কারণেই এ ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনিসহ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। ভাঙ্গনের আগেও এলাকার কৃষকরা মৌখিকভাকে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তারা কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

সারারাত যাওয়ার পর রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুইজন কর্র্মকর্তা আসেন। এবং বালুর বস্তা আর বাঁধের মাটি কেটে ভাঙ্গাস্থান টি বন্ধ কাজ শুরু করেন।

নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মকছুদার রহমান বলেন, রাতে কেউ আমাদের খবর দেয়নি। সকাল সোয়া ১০টার দিকে খবর পেয়ে আমারা ছুটে আসি।

ভাঙ্গনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইঁদুরের গর্তে পানি প্রবেশ করায় এই ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে বালুর বস্তা আর মাটি ফেলে ভাঙ্গন অংশটি মেরামত করা হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও ফসলের তালিকার কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: