ঢাবিতে বাল্য-বিবাহ গবেষণা প্রতিবেদনের ফল প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শিক্ষাকে সকল সামাজিক রোগ নিরাময়ের মহা-ওষুধ হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেছেন, ব্যবহারিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে পারলে বাল্য-বিয়েসহ সমাজের সকল ব্যাধি দূর করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বেসরকারি সংস্থা ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল’ আয়োজিত বাল্যবিয়ে বিষয়ক এক গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল’-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর সেনেত গ্যাব্রিজিবার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি প্রধান অতিথি এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনুত পিরে লারামি ও ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ আর্জেন্টিনা পিনতো মেটাভাল পিছিন বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বাল্য বিয়ের মাধ্যমে মেয়েদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়। তিনি বাল্যবিয়ে রোধে তৃণমূল পর্যায়ে নারী শিক্ষা প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, বাল্যবিয়ে রোধে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘শিগ্গিরই এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়ন করা হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়– ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই বাংলাদেশে ৭৩ভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। ইন্দোনেশিয়ায় এই হার ৩৮ ভাগ এবং পাকিস্তানে ৩৪ দশমিক ৮ ভাগ। প্রতিবেদনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং দারিদ্র, দুর্বল বিচার ব্যবস্থা ও অকার্যকর আইন প্রয়োগ প্রক্রিয়াকে বাল্য বিয়ের কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: