লজ্জাবতীর লজ্জা রহস্য

ফিচার ডেস্ক:
ঝিরঝিরে সবুজ পাতার ছোট্ট একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ, পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়ে ফোটে হালকা বেগুনি রঙা ফুল। স্নিগ্ধ সেই ফুল দেখতে গোলাকার যেন কোনো তুলি। হ্যাঁ, বলছি লজ্জাবতী গাছের কথা।
নামটি শুনলেই মনে পড়ে যায় যার প্রচন্ড লজ্জার কথা। ছুয়ে দিলেই যেন নতুন বউ এর মতোন লজ্জায় নুইয়ে ফেলে মাথা। পাতায় স্পর্শ করা মাত্রই গুটিশুটি হয়ে চুপসে যায় পাতা। লজ্জাবতী গাছের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য যার জানা, তার পক্ষে পাতার সাথে খেলার লোভ সামলানো কষ্টদায়কই বটে।
লজ্জাবতীর এত লজ্জার কারণ নিশ্চয়ই একটি প্রশ্ন হিসেবে উঁকি দিয়েছে মনের কোণে যে, লজ্জাবতী গাছের পাতা ছুলে চুপসে যায় কেন?
কারণ হচ্ছে লজ্জাবতী গাছের পাতার গোঁড়ায় থাকে বড় বড় অনেক কোষ। সেই কোষগুলোতে যখন পানি জমা হয়ে ফুলে ওঠে, তখন লজ্জাবতী পাতার ডাঁটাটি সোজা হয়। কিন্তু হঠাত্ পাতা ছুঁলে দিলে ওই ফোলা কোষগুলো থেকে পানি বেরিয়ে পিছন দিককার কোষে চলে যায় , ফলে কোষগুলো চুপসে পড়ে।
চুপসানো কোষে জলের চাপ কমে যায়। এর ফলে দেখা যায়, পাতা সহ পুরো ডালটিই নুইয়ে পড়েছে।
পরবর্তীতে আবার পানি ফিরে এলে স্বাভাবিক হয় গাছটি। পুরো ব্যাপারটি ঘটে খুব দ্রুত এবং ‘অ্যাসিটাইলকোলিন’ জাতীয় একধরনের রাসায়নিক পদার্থের সাহায্য। তাই এটি কোনো ম্যাজিক নয় বরং বিজ্ঞানেরই একটি মজার খেলা।
-সাবরিন জাহান
You must be logged in to post a comment.