নতুন চেহারা বিশ্বজুড়ে বিদ্যালয়গুলোর

নিউজ ডেস্কঃ

কভিড-১৯ মহামারী বিশ্বজুড়ে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাওয়ার রীতি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে সরকারি দিকনির্দেশনার ওপর নির্ভর করে অনেক বিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক বিদ্যালয় বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে। এ অস্বাভাবিক সময়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চিত্র তুলে ধরেছে মার্কিন গণমাধ্যম হাফপোস্ট।

গ্রীষ্মের ছুটি এবং করোনাভাইরাস লকডাউন শেষে জার্মানির হ্যানাওয়ে বিদ্যালয়গুলো পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে। ১৭ আগস্ট ধারণ করা ছবিতে দেখা গেছে, হ্যানাওয়ের কার্ল-রেহবেইন উচ্চবিদ্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুরক্ষামূলক মাস্ক পরেছিলেন।

করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হওয়া চীনের কেন্দ্রীয় হুবেই প্রদেশে দীর্ঘ সাত মাস পর বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে নতুন সেমিস্টারের প্রথম দিন মাস্ক পরে উহানের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা ক্লাসে উপস্থিত হয়েছিল।

১ সেপ্টেম্বর পোল্যান্ডের ওয়ারশে নতুন বিদ্যালয় বছরের প্রথম দিনে বিদ্যালয় পরিচালকের বক্তব্য শুনেছে শিশুরা। ২ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার কুলভার সিটির স্টার ইকো স্টেশন টিউটরিং অ্যান্ড ইনরিসমেন্ট সেন্টারে সামাজিক দূরত্ব শেখার পডগুলোতে বসে শিক্ষার্থীরা লাইভস্ট্রিম ক্লাস করেছে। সেন্টারটি ওই অঞ্চলের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি লার্নিং হাব হিসেবে কাজ করে। এটাও কভিড-১৯-এর কারণে বন্ধ ছিল।

প্রতিরক্ষামূলক মাস্ক পরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ফ্রান্সের লকডাউনের পর ১ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো উচ্চবিদ্যালয়ের ক্লাসে উপস্থিত হয়েছিল। নতুন সেমিস্টারে লাখ লাখ শিক্ষার্থী ক্লাসরুমে ফিরে তাদের ‘লা রেন্ট্রির’ আনন্দ সুরক্ষা উদ্বেগকে ছাপিয়ে যায়।

থাইল্যান্ডে দেশব্যাপী বিদ্যালয়গুলো চালু হওয়ার আগে ২৩ জুন ব্যাংককের উইচুথিট বিদ্যালয়ের কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা সামাজিক দূরত্বের মহড়া চালায় এবং সেদিন সেখানেই তারা মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয়।

মহামারীর কারণে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার পর ৮ আগস্ট থেকে ফিলিস্তিনের গাজা কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞাগুলো কিছুটা শিথিল করে। ওই দিনের একটি ছবিতে দেখা যায়, গাজা শহরের রোজারি সিস্টার্স স্কুলের একজন কর্মী পুনরায় বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। ১ সেপ্টেম্বর ইতালির তুরিনের ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল টোরিনোর শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরে ক্লাসে অংশগ্রহণ শুরু করে।

১ সেপ্টেম্বর প্যারিসের পূর্বে ভিনসনেস’র ফ্রান্সোইজ-গিরোড মিডল স্কুলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করেছে। মহাদেশজুড়ে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ থাকার পর ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেয়া হয়েছিল।

১৫ মে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ফ্লেমিশ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় খুব অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাসে যায়। সামাজিক দূরত্ব ও প্রতিরক্ষামূলক মাস্ক ব্যবহার করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লকডাউনের পর ক্লাসে ফিরেছিল।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই লকডাউন শেষে ১ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে মাস্ক পরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করে। পর্তুগালের লিসবনের ডি পেড্রো ভি উচ্চবিদ্যালয়ে পৌঁছার পর শিক্ষার্থীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে।

  •  
  •  
  •  
  •  

Tags: