আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন নেপালি কংগ্রেসের সভাপতি শের বাহাদুর দেউবা। সোমবার নেপালের সু্প্রিম কোর্ট এমন নির্দেশ দিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারিকে দুইদিনের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই নির্দেশে নাখোশ নেপালের সাবেক ক্ষমতাসীন দল সিপিএন-ইউএমএল।

দেউবাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ১৪৯ জন সাংসদের একটি পিটিশন পাঠানো হয়েছিল। সেখানে নেপাল কংগ্রেসের নেতা দেউবাকেই সমর্থন করেছিলেন অধিকাংশ সাংসদ। সেই পিটিশন খারিজ করে ওলিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালাতে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাংসদেরা। এদিন রাষ্ট্রপতির সেই নির্দেশ খারিজ করে দিলেন সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, নেপালের আগের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। তার আমলে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল। সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে যেমন বিবাদে জড়িয়েছেন ওলি। একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছেন তিনি।

এককালের বন্ধু পুষ্পকমল দাহালের সঙ্গেও সম্পর্কে চিড় ধরে ওলির। ফলে দুই ভাগ হয়ে যায় নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। কিন্তু নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ। ফলে মসনদে শের বাহাদুর দেউবা বসলে আপাতত অনেকটাই স্বস্তি পাবে নয়াদিল্লি।