গুলিস্তান থেকে মিরপুর-১ এর ভাড়া সাড়ে ৫০০ টাকা !

নিউজ ডেস্ক‌:

ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে গণপরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের তিনটি সংগঠন।ফলে আজ সকাল থেকে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। একইভাবে সারা দেশে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।

সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যানবাহন বিশেষ করে সিএনজি, রিকশা ও মোটরসাইকেল চলছে। তবে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে তিন-চার গুন। ফলে বাধ্য হয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, এর আগেও দেশে ধর্মঘট চলেছে গণপরিবহনের।তবে এবারে ৩০ টাকার ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে। সিএনজি ভাড়া যেখানে ২০০ টাকা সেখানে চাওয়া হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা।গুলিস্তান থেকে মিরপুর ১ নম্বরে যেতে এক ব্যক্তি ভাড়া জিজ্ঞেস করেন এক বাইকারকে। তাঁর কাছে চাওয়া হয়েছে সাড়ে ৫০০ টাকা। ভাড়া শুনে অবাক তিনি।

উল্লেখ্য যে,গতকাল বৃহস্পতিবার(৪ নভেম্বর), বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন মো. মজুমদার বলেন, “কাল (আজ) সকাল ৬টা থেকে সারা দেশে সব ধরনের পণ্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে। ডিজেলের এমন মূল্য দিয়ে পণ্য পরিবহনের গাড়ি চালানো সম্ভব নয়।”

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো ধর্মঘটের ডাক দিইনি। বাস চালানো হবে কি না সে বিষয়ে প্রতিটি জেলায় আলাদাভাবে মালিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে ডিজেলের দাম বাড়ায় বেশির ভাগ মালিকই বাস চালাতে রাজি না।”

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, “বাসের ভাড়া বাড়াতে বাস মালিকরা একটি চিঠি দিয়েছেন। আগামী রবিবার বিকেল ৩টায় এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে।”

পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে তিনি বলেন, “আমি যত দূর জানি, কোনো ধর্মঘট হচ্ছে না। একদিকে ধর্মঘট চলবে আর অন্যদিকে ভাড়া বাড়ানোর আলোচনা হবে; দুটি একসঙ্গে হতে পারে না।”

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3