উত্তরবঙ্গের সর্বকনিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান বাবু

জিল্লুর রহমান পলাশ, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
উত্তরবঙ্গের ৮ জেলার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ৮নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু।

চতুর্থ ধাপের (৭মে) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (আনারস) প্রতিকে ৬৩৬৮ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো ৮নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু। মাত্র ৩১ বছর বয়সে বাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এরআগে এ ইউনিয়নে এত ভোট পেয়ে কেউ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হননি। বাবুই প্রথম জনগনের ভালোবাসায় বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নবাসীকে তাক লাগিয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) মনোনীত সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবদুর রশীদ খাঁন। তিনি পেয়েছেন ৪৭৩৩ ভোট। এ ইউনিয়নে বাবু ছাড়াও আ’লীগ ও বিএনপির আরও ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করেন।

বাবু ১৯৮৪ সালে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্তোলা (মিয়াবাড়ি) গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত্যু আমিনুল ইসলাম টুকু মিয়া ও মা মৃত্যু সুলতানা রাজিয়া বেগম। তার বাবা খাদ্য বিভাগে কর্মরত ছিলেন। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে বাবু সপ্তম। বাবু ২০০০ সালে ভাতগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করেন।

এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি ও বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে অর্নাস এবং একই কলেজ থেকে ২০১০ সালে (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে) মাষ্টার্স সম্পন্ন করেন। বাবু লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রজীবনে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এসব সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে তিনি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। এরমধ্যে তিনি সন্ধানী ডোনার ক্লাবের অন্যতম সদস্য ছিলেন।

তবে সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বাবু সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে নিজেকে বিভিন্নভাবে উৎসর্গ করেন। মানুষের সুখ-দু:খে তাদের পাশে থেকে জনকল্যাণে নিজেকে আরও নিবেদিত করতে বাবু গতবারের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে (মাইক) প্রতিকে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। কিন্তু ভোট কেন্দ্রের ফলাফলে হস্তক্ষেপ হওয়ায় মাত্র ৪১ ভোটে পরাজিত হন তিনি।

এক প্রতিক্রিয়ায় এটিএম রেজানুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসা ও সকলের দোয়া এবং সহযোগিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। ভাতগ্রাম ইউনিয়নকে একটি শান্তির জনপদ ও উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সেবা এবং তাদের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। আগামী ৫ বছরের মধ্যে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা করি’।

তিনি আরও বলেন, ‘সুষ্ঠ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় স্থানীয় এমপিসহ সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি স্থানীয় এমপি মহোদয়, প্রতিদ্বন্ধী সকল প্রার্থী ও সর্বস্তরের জনগনকে সঙ্গে নিয়ে আগামীতে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি’।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3