পদত্যাগ করা হেফাজতের সেই কেন্দ্রীয় নেতাও গ্রেফতার!

hefazot

নিউজ ডেস্কঃ হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৪ মে) বিকাল ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে হেফাজতের সহিংসতায় জড়িতদের বিচার দাবি করে পদত্যাগ করেছিলেন কাসেমী।

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন জানান, ‘হামলার ঘটনার পর থেকে মাওলা কাসেমীর গতিবিধি নজরদারি করে আসছিল পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে কাসেমী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় শহরের দক্ষিণ দিকে যাওয়ার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তাণ্ডবের ঘটনায় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগের একাধিক মামলায় আসামি করা হতে পারে।

এদিকে জেলা পুলিশের অপর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচি চলাকালে তাণ্ডবের ঘটনার মূলহোতা এবং তাণ্ডবের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন কাসেমী। সে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে সরকার উৎখাতের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা সহ আশেপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষককে নিয়ে ব্যাপক তাণ্ডবলীলা চালায়।

এ সময় সে এবং তার সিনিয়র মুরুব্বিদের প্রত্যক্ষ নির্দেশে হেফাজতের ছাত্র শিক্ষকগণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হেফাজতের তাণ্ডবে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকেরা।

এ সব ঘটনায় ৫৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলাগুলোতে এজাহারনামীয় ৪১৪ জন ও অজ্ঞাত ৩৫ হাজারেরও বেশি আসামি। এসব মামলায় আজ (মঙ্গলবার) সকাল পর্যন্ত ৪১৪ জনকে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3

Tags: ,