কুড়িগ্রামে বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

নিউজ ডেস্কঃ
কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাত না হলেও নদ-নদীর পানি ধীরগতিতে বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। জেলার ৯টি উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পরছে।

ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় নদী অববাহিকা নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নিচু অঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ জন।

ব্রহ্মপুত্র নদের ভেতরে জেগে ওঠা দুর্গম চরাঞ্চলে থাকা অসংখ্য পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচাং-এ আশ্রয় নিয়ে অনাহার-অর্ধাহারে রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেকেই তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু বাঁধ, মাটির টিলা এবং উচু সড়কে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

বন্যা কবলিত এলাকা সমূহে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশু নিয়েও অসংখ্য পরিবার বিপাকে রয়েছেন। অনেকে তাদের গৃহপালিত গরু-ছাগল উঁচু এলাকায় সরিয়ে নিতে পারলেও গো-খাদ্যের যোগান দিতে না পারায় বিপাকে পড়েছে তারা।

বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।

বন্যা কবলিত এলাকাসমুহের জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলায় সবমিলে আনুমানিক লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সমন্বয় কক্ষ চালু করা হয়েছে। অন্যদিকে পানির তোড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ১শ মিটার ভেঙে কয়েকটি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ৯ উপজেলায় ২শ ৯৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১১ লাখ টাকা, শুকনো খাবার ১ হাজার প্যাকেট, ১৭ লাখ টাকার শিশু খাদ্য ও ১৯ লাখ টাকার গো-খাদ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলার রৌমারী, রাজিবপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাকি উপজেলাগুলোতেও দ্রুত শুরু হবে।

  •  
  •  
  •  
  •