ফুল চাষে এগিয়ে আসছে নারীরাও

নিউজ ডেস্ক:

ফুল চাষে এগিয়ে আসছে নারীরাও। ফুল চাষ আমাদের দেশে বেশ লাভজনক একটি পেশা হিসেবে লক্ষণীয় হয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানে দিন দিন ফুলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখযোগ্যহারে। বাড়তি লাভের আশায় তাই ফুল চাষে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখেছেন অনেকেই। নারীরাও পিছিয়ে এই ফুল চাষের পেশায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নারীরা ফুলের চাষ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ফুলের চাষ। আগে আমাদের দেশে ফুল খুব কমই ব্যবহার করা হতো। আর এখন সব ধরণের অনুষ্ঠানেই ফুল ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে দেশে ফুলের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে অনেকগুনে। ফুলের এই বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে অনেকেই নতুন করে করছেন ফুলের চাষ। এক্ষেত্রে নারীরাও অংশ নিচ্ছেন ফুল চাষে।

এমনি একজন নারী হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কল্পনা আক্তার। তিনি বর্তমানে ফুল চাষের পাশাপাশি ফুলের তোড়া এবং ফুলের মালা তৈরির কাজও করছেন। আগে বহু কষ্টে তার দিন কাটলেও এখন ফুলের মালা ও ফুলের তোড়া বিক্রি করে নিজের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তার ছেলেমেয়েদের পাঠাচ্ছেন স্কুলে। তার উপার্জন করা অর্থ দিয়েই চলছে তাদের সংসার।

আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। শুরুটা হয়েছিল যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে। তবে এখন আমাদের দেশে বেশ কয়েকটি জেলায় বিপুল পরিমাণে ফুলের চাষ হচ্ছে। ফুলের চাষ করে অনেকেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। এই পেশায় জড়িয়ে অনেকেই বেকারত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছেন, আবার অনেকেরই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের প্রতিটি অনুষ্ঠান কিংবা উৎসব যেমন- ভালোবাসা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ২১শে ফেব্রুয়ারি, বিজয় দিবস, ঈদ বা পূজায় ফুলের ব্যবহার অধিকহারে লক্ষ্য করা যায়।

ফুল চাষ করার সবচেয়ে বড় সুবিধাই হল ফুল বছরের সব সময় বিক্রি করা যায়। এছাড়াও বিশেষ দিনগুলোতে ফুল বিক্রি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। এই বিশেষ দিনগুলোতে ফুল বিক্রি করে ফুল চাষিরা সবচেয়ে বেশি লাভবান হন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিন দিন আমাদের দেশের উৎপাদন হওয়া ফুলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশের আবহাওয়া ও মাটি ফুল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। তবে সরকারীভাবে সহযোগিতা করা হলে দেশে আরও বেশি পরিমাণে ফুল উৎপাদন করা সম্ভব।

  •  
  •  
  •  
  •  

Tags: