বৈরী আবহাওয়ায় ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

কৃষি ডেস্ক: তীব্র খরায় বিলম্বিত চাষাবাদ। সে সঙ্গে জ্বালানি তেলসহ সারের কৃত্রিম সংকটে এবার নওগাঁর বরেন্দ্র এলাকায় ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক। তাদের দাবি, গত মৌসুমের তুলনায় আমন আবাদের এবার খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে খরচ বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত ফলন ও ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়েছে শঙ্কা বিরাজ করছে। এদিকে সংকটের কথা স্বীকার করলেও কৃষি বিভাগ বলছে, ফলনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব পড়বে না।

বরেন্দ্র এলাকার কৃষকরা চলতি মৌসুমে অন্তত ১ মাস দেরিতে রোপা আমন চাষাবাদে নামেন। ধান রোপণের পর কৃষি উপকরণের বাড়তি দরের মাঝেই দেখা দেয় সার সংকট। যা তাদের চিন্তা বাড়িয়েছে। সার কিনতে গিয়েই ডিলার আর ব্যবসায়ীর কারসাজিতে নাজেহাল হতে হয়। চড়া দামে সার কেনার পাশাপাশি বৃষ্টির অভাবে সেচও কৃষককে গুনতে হয়েছে বাড়তি অর্থ।

তীব্র খরায় একদিবে বিলম্ব চাষাবাদ, অন্যদিকে নানা কারণে এবার আমন আবাদে অন্তত ৬০ ভাগ বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে। চাষিদের অভিযোগ, নানা সংকেট ফসল উৎপাদনে শঙ্কা রয়েছে।

তারা বলেন, গত বছর এক বিঘা জমিতে ৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার তা ১২ হাজার টাকায় উঠে গেছে। আমরা ঘোর বিপদে আছি। কারণ সারের দাম বেশি। সেই সঙ্গে পানির কষ্ট ও তেলের দাম বাড়তি।

এবার ফসল উৎপাদনে বাড়তি ধকল থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে সেচের ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়ে গেছে। তবে আমরা মনে করি না, এতে আমাদের উৎপাদনে তেমন একটা প্রভাব পড়বে।

জেলায় এবার ১ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৯০ ভাগ জমিতে ধান রোপণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3