প্রকল্পের মাধ্যমে চাষকৃত নিরাপদ মাছ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

‘ফিড দা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর ফুড সেফটি’ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষকৃত নিরাপদ মাছ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীন সমাজবিজ্ঞান অনুষদ সম্মেলন কক্ষে শনিবার (১ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প ”Enhancing Food Safety in Fish and Chicken Value Chains of Bangladesh” এর অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত মাছ অধিকতর নিরাপদ হওয়ায় ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে।

অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ সাইদুর রহমান প্রকল্পের বর্তমান কর্মকান্ড ও ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আমেরিকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রফেসর ড. মদন মোহন দে। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পর মাধ্যমে প্রাপ্ত মাছ আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রকল্পের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন, মাইক্রোবায়েলজি ও হাইজিন বিভাগের প্রফেসর ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হুসাইন নাজির। তিনি প্রকল্পের চাষকৃত রুই মাছ ও বাজারে প্রাপ্ত রুই মাছের পার্থক্য দেখান এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

এরপর চারটি গ্রুপের মাধ্যমে ভোক্তাদের আলাদা করে প্রকল্পে চাষকৃত রুই মাছ ও বাজারে প্রাপ্ত রুই মাছ শনাক্ত করতে দেওয়া হয় । ভোক্তারা সহজেই প্রকল্পের চাষকৃত রুইমাছের আকার ও রং দেখে শনাক্ত করতে পারেন ।

প্রকল্পের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎপাদিত অধিকতর নিরাপদ মৎস্য খাদ্য প্রয়োগের মাধ্যমে রুই মাছ উৎপাদন করা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় প্রচলিত খাদ্য ব্যবস্থাপনায় চাষকৃত অপেক্ষাকৃত কম নিরাপদ মাছসমূহ থেকে অধিকতর নিরাপদ মাছ প্রাপ্তিতে ভোক্তাদের চাহিদা কেমন তা দেখতে অকশন বা নিলাম করা হয়।

নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তিতে ভোক্তাদের আগ্রহ যথেষ্ট তাই ভোক্তারা নিলামের মাধ্যমে ৩৫৫ টাকা কেজি করে এই রুই মাছ ক্রয় করেন বাকৃবি কে.আর মার্কেট থেকে। যদিও বাজারে রুই মাছ কেজি প্রতি ২৫০ – ২৮০ টাকায় পাওয়া যায়।

ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও টেক্সাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিতভাবে এ নিলামের আয়োজন করে। প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত নিরাপদ মাছ ও মুরগির বাজারদর নির্ধারণ করার কৌশল হিসেবে গবেষক দল এ নিলামের আয়োজন করে।

ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য নিরাপদ খাদ্য, বিশেষ করে নিরাপদ মাছ ও মুরগি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভোগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের জ্ঞানের পরিধি, তাদের মনোভাব ও বাস্তব জীবনে তা অনুশীলন করার মাত্রা কেমন তা জানা এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার রুপরেখা প্রস্ততকরণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকরী নীতিমালা প্রণয়নে উৎসাহিত করা।

  •  
  •  
  •  
  •