এক যুগে পা রাখলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
শুভ কর্মপথে ধর নির্ভয় গান, সব দুর্বল সংশয় হোক অবসান, চির শক্তির নির্ঝর নিত্য ঝরে, লহ সে অভিষেক ললাট স্বপনে।’ এই গানের মাধ্যমে শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান। এর মধ্য দিয়ে যুগে প্রবেশ করল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, যদিও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা আজ থেকে ১১ বছর আগে তবে এর প্রকৃত বয়স ৬ বছর।

তিনি বলেন, ‘২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর যাত্রা শুরু করলেও ২০১১ সাল পর্যন্ত তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের শিক্ষকদের দ্বারাই পাঠদান চালু ছিল এবং বেশির ভাগ ছাত্ররাও ছিল কলেজের ছাত্র। ফলে তা কলেজের আদলেই পরিচালিত হত। পরে ২০১১ সালে প্রথম জগন্নাথ কলেজের শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম স্থগিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্ব নেওয়া ও ছাত্র ভর্তি কার্যক্রম হওয়া শুরু হয়। ফলে আমাদের যাবতীয় একাডেমিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন এরপর থেকেই শুরু হয়েছে। এ ছয় বছরে বিশেষ করে আমার পৌনে চার বছরে আমরা যেটা করতে চেয়েছি তা হল এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকের এ অনুষ্ঠান দেখে মনে হচ্ছে আমরা অনেকটাই তা করতে পেরেছি। এ কয়েক বছরের অর্জন যদি বলতে হয় তবে বলতে চাই ইতোমধ্যে আমরা বিসিএস-এ দ্বিতীয় হয়েছি তবে প্রথম হওয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারর বলেন, ‘আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন তেমন করতে না পারলেও একাডেমিকভাবে নীরব বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হয়েছি।’

এরআগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপাচার্যের কক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সকাল পৌনে দশটার দিকে জবি প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের নেতৃতে ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রাটি বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে পুরান ঢাকার জজকোর্ট ও রায়সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়া, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম আব্দুল্লাহ, আইন অনুষদের ডীন সরকার আলী আক্কাস প্রমুখ।

  •  
  •  
  •  
  •  

Tags: