বাকৃবিতে খন্দকার নাসিরের যোগদান নিয়ে শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ

বাকৃবি প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার মোঃ নাসিরউদ্দিনের বাকৃবিতে যোগদানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতি প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেন।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ঐ বিবৃতিতে বলা হয় “ইতিপূর্বে বাকৃবি হতে প্রায় ডজন খানেক প্রফেসর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ রাষ্ট্রের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করেছেন। তাদের সততা ও দক্ষতা বাকৃবির ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে। কিন্তু প্রফেসর খন্দকার মোঃ নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তাতে বাকৃবির শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা তার এহেন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।”

প্রফেসর নাসির বাকৃবির বায়োটেকনোলজি বিভাগে নিজ কর্মস্থলে যোগদানের জন্য আবেদন করেছেন। এই যোগদানের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশের প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলো সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় ও মতামত প্রকাশ করেছে, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপাচার্য হিসেবে তার অনিয়ম ও অনৈতিকতার উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত যোগদানের বিষয়টি স্থগিত রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে।

বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয় প্রফেসর নাসিরের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ইউ.জি.সি-র মত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সত্যতা পেয়েছে এবং তার ভিত্তিতে তাঁকে অপসারণের সুপারিশ প্রদান করেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের সুস্পষ্ট দাবী- প্রফেসর খন্দকার নাসিরউদ্দিনের উপাচার্য হিসেবে অনিয়ম ও অনৈতিকতার উপযুক্ত বিচার করতে হবে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. খন্দকার মোঃ নাসিরউদ্দিনের নানাবিধ অনিয়ম ও অনাচারের কারণে ছাত্রছাত্রীরা তার পদত্যাগের দাবীতে লাগাতার আন্দোলন পরিচালনা করে। পরিশেষে তিনি ভিসি পদ হতে পদত্যাগ করেন।

  •  
  •  
  •  
  •