ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হার বেশি নয়: মাউশি পরিচালক

শিক্ষা ডেস্ক:

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, করোনার কারণে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থী সম্পর্কে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। আগে আমাদের দেখতে হবে কতটুকু শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ল। কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হলেই যে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়বে তা কিন্তু নয়। এসব শিক্ষার্থী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন দেশের কোন স্কুলে কতজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হচ্ছে সেটার তথ্য নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ১৯ হাজার স্কুলের তথ্য নেয়া হয়েছে, এর আগে যা ছিল ১৮ হাজার, প্রতিদিনই এটা বাড়ছে। মাসখানেকের মধ্যে সব স্কুলের তথ্য পাওয়ার পরই বুঝা যাবে আসলে কতটা ঝড়ে পড়ছে। তবে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার হার থেকেই বুঝা যায়, ঝড়ে পড়ার হারটা খুব বেশি হবে না। ঝড়েপড়া রোধে উপবৃত্তিসহ সরকারের পদক্ষেপ আগে থেকেই আছে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী নরসিংদী জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের সময় বিকেলে এনকেএম হাইস্কুল অ্যান্ড হোমসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মাউশি মহাপরিচালক।

এ সময় তিনি আরো জানান, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেবলমাত্র করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা নয়, ডেঙ্গু মোকাবেলাসহ স্থায়ীভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করছেন সকল শিক্ষা কর্মকর্তারা।

মাউশি মহাপরিচালক জানান, কিছুদিন আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক অনুমোদন করেছেন, সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। চলতি বছর টেক্সট বই প্রস্তুত করা হবে, সামনের বছর ২০২২ সালে ১০০টি স্কুলে পাইলটিং করা হবে এবং সেই ভিত্তিতে সামনের বছরের শেষের দিকে টেক্সট বই তৈরি করে ২০২৩ সালে কারিকুলাম শুরু হবে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এর পরিচালক প্রফেসর আমির হোসেন, পরিচালক অর্থ ও ক্রয় প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম খান, ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মনোয়ার হোসেন, নরসিংদী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র মিত্রসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3