কুয়েটের দুই প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ
শিক্ষা ডেস্ক:
প্রফেসর ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুটি হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে আরও দুই শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। উপাচার্যের কাছে পদত্যাগ পত্রও জমা দিয়েছেন তারা।
অপর চার হলের প্রভোস্ট ও সাত হলের সহকারী প্রভোস্টরা পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হলে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
প্রফেসর ড. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর শিক্ষকরা অনেকেই এখন সমস্যা এড়াতে প্রভোস্টের পদত্যাগ করতে চাইছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রভোস্ট সংকটের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পদত্যাগ করা প্রভোস্টরা হলেন- কুয়েটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. কল্যাণ কুমার হালদার ও ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. হাবিবুর রহমান।
জানা গেছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর কল্যাণ কুমার হালদার ও ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট প্রফেসর মো. হাবিবুর রহমান প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগপত্র উপাচার্যের কাছে জমা দিয়েছেন।
তারা জানিয়েছেন, হলের পরিবেশ সুষ্ঠু না হওয়ায় ড. সেলিমের মৃত্যুর পর থেকে তারা মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি জীবনের শঙ্কাও করছেন। তাছাড়া তাদের পরিবারের সদস্যরাও ঘটনার পর থেকে উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন।
কুয়েটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর কল্যাণ কুমার হালদার বলেন, ড. সেলিম আমার বন্ধু ছিলেন। তার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছি না। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার মৃত্যুর পরদিন আমি প্রভোস্ট পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এরপর আরও একজন প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন।
কুয়েটের রোকেয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর এবিএম মামুন জামাল বলেন, শিক্ষক সেলিম হোসেন সুস্থ ছিলেন। তার চলে যাওয়া কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তার মৃত্যুতে আমরা সকলেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তার মৃত্যুর পর প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টদের নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে সবাই শিক্ষক সমিতির পাঁচ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।