নিউজ ডেস্ক:

সশরীরে শিক্ষা ও পরীক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সশরীরে ক্লাস এবং হল খোলা রাখা যাবে না বলে সতর্ক করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শ দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে করোনা সংক্রমণের হার আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে আবাসিক হল খোলা রাখা ও সশরীরে শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাহত হবে।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী এখনও বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণেই। তবে ২৪ ঘণ্টায় রোগীর সংখ্যা ও পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি দেয়া পর্যন্ত সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত ছিল ৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এই হার গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

গতকাল বুধবার পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, মঙ্গলবার ছিল ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। সপ্তাহ দুয়েক আগেও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ২-এর কোঠায়। এক মাস আগে তা ছিল ২-এর নিচে।

করোনার কারণে দেড় বছরেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়া হয়। সশরীরে ক্লাস শুরু হয় আরও ১২ দিন পর ১৭ অক্টোবর।

এরই মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দিয়েছে। কেবল পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস নেওয়া হবে। তবে হল বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

এই পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। যেহেতু আমাদের হলগুলো খোলা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

করোনা সংক্রমণ বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নানা বিধিনিষেধের কথা বলছে। দুই টিকা না দিলে এমনকি স্কুলেও ক্লাস করতে না দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে গেলে, যানবাহনে চড়তে গেলেও টিকার কার্ড দেখাতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিকসহ যেকোনো জমায়েত নিরুৎসাহিত করার বিষয়েও নির্দেশনা জারি হয়েছে।