বাকৃবিতেই তৈরি হবে ডাক প্লেগ ভাইরাসের স্বল্পমূল্যে কার্যকরী ভ্যাক্সিন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সাব-প্রজেক্টের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২১ মার্চ (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টায় ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন সম্মেলন কক্ষে দেশীয় হাঁস থেকে পাওয়া ডাক প্লেগ ভাইরাসের বীজ ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যে কার্যকরী ডাক প্লেগ ভাইরাস ভ্যাক্সিন তৈরির উপর এই কর্মশালা আয়োজিত হয়।

অনুষ্ঠানে মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মার্জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেটেরিনারি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আওয়াল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অমলেন্দু ঘোষ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি ড. মো: আব্দুল লতিফ এবংএলডিডিপি এর ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. মো: শাকিফ-উল-আজম।

কর্মশালার শুরুতে এই প্রকল্পের সহযোগী প্রধান গবেষক মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফেরদৌসুর রহমান খান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর দেশীয় হাঁস থেকে পাওয়া ডাক প্লেগ ভাইরাসের বীজ ব্যবহার করে কিভাবে স্বল্পমূল্যে কার্যকরী ডাক প্লেগ ভাইরাস ভ্যাক্সিন তৈরি করা যায় তার উপর একটি উপস্থাপনা প্রদান করেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোঃ বাহানুর রহমান।

সবুজবাংলাদেশ24.কমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রফেসর ড. মোঃ বাহানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে হাওড় অঞ্চলে প্রায় ৬ মাস পানি থাকে। এসময় সেখানে প্রচুর হাঁস পালন করা হয়। এসময় ডাক প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। প্রায় ৫০শতাংশ হাঁস ডাক প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয় এবং অনেক হাঁস এ রোগে মারা যায়। একারণে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভ্যাক্সিন হাঁসকে ডাক প্লেগ রোগের হাত থেকে রক্ষা করবে যার ফলে হাঁসের মাংস ও ডিমের উৎপাদন বাড়বে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে নিষ্ক্রিয় ভাইরাস থেকে ভ্যাক্সিন এই প্রথমবারের মত তৈরি হচ্ছে। উপস্থাপনার পর সেমিনারটি সকলের প্রশ্ন ও মতামতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত গবেষক, শিক্ষক ও বৈজ্ঞানিককর্মকর্তারা প্রকল্প নিয়ে তাদের প্রশ্ন ও মতামত উপস্থাপন করেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
ad0.3